1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের জন্য হোক - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫১ অপরাহ্ন

তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের জন্য হোক

  • আপডেট সময় : সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫

অনলাইন ডেস্ক// রাজধানীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বড় বড় সমাবেশ দেখেছে নগরবাসী। তবে একক ছাত্র সংগঠন হিসেবে ঢাকায় তারুণ্যের জনসমুদ্র এর আগে দেখেনি কেউই। গতকাল রোববার শাহবাগ চরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে তেমনি এক ঐতিহাসিক ছাত্র সমাবেশের সাক্ষী হয়েছে ঢাকাবাসী। ছাত্রদলের এই ছাত্র সমাবেশ দলীয় নেতাকর্মী, ছাত্র-ছাত্রী ও তারুণ্যের উপস্থিতিতে শাহবাগকে কেন্দ্র করে একদিকে টিএসসি অন্যদিকে মৎস্যভবন পর্যন্ত জনসমুদ্রে পরিণত হয়। নির্ধারিত সময় বেলা ২টা থেকে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে দলে দলে খ- খ- মিছিল নিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীরা ছুটতে থাকেন শাহবাগের দিকে। বেলা ১২টার আগেই শাহবাগের দু’দিকের (মৎস্যভবনমুখী ও টিএসসিমুখী) সড়কে লাখ লাখ তারুণ্যের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে পরিণত হয় শাহবাগ এলাকা।

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত ছাত্র সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে শাহবাগে। সকাল থেকে পুরো সময়ই সমাবেশস্থলে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীরা সেøাগানে সেøাগানে মুখর করে রাখে। কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইরফান আহমেদ ফাহিম বলেন, এটি শুধু একটি রাজনৈতিক সমাবেশ নয়, বরং স্বৈরাচারবিরোধী লড়াইয়ে ছাত্রসমাজের দৃপ্ত পদচারণার প্রতীক। সেøাগান ও একাত্মতার এই চিত্র সেই বার্তাই দিচ্ছে। আমরা ২৪ এর জুলাই আন্দোলনে নিজের জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছি। সেই লড়াইয়ের বর্ষপূর্তি উদযাপনে আজ এখানে এসেছি।

সরেজমিন দেখা যায়, সমাবেশস্থলের চারপাশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, উত্তর, পশ্চিম ছাত্রদলসহ ঢাকার বিভিন্ন ইউনিটের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও লাখ লাখ নেতাকর্মীর কারণে সমাবেশস্থল থেকে বেশ দূরে টিএসসির কাছাকাছি অবস্থান নেয় ঢাকার বিভিন্ন কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

তারুণ্যের এই জনসমুদ্রে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, এই সমাবেশে ছাত্রদলের নেতা-কর্মী এবং প্রিয় শিক্ষার্থী ভাই বোনের মাধ্যমে সারাদেশে সকল শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মের কাছে আজ আমার একটি আহ্বান থাকবে, আমার এই আহবানের কথা সারাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সকল শিক্ষার্থী এবং আগামীর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে, যারা নতুন ভোটার তাদের সকলের কাছে ছড়িয়ে দাও। “তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের জন্য হোক।”

তারেক রহমান বলেন, আসো আমরা আজকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ, শহীদদের কাক্সিক্ষত বাংলাদেশ গড়ার জন্য যা যা প্রয়োজন, নিজেদেরকে যোগ্য করার জন্য যা যা প্রয়োজন তোমরা তা সকলে গ্রহণ করবে, এই হোক আজকের প্রতিজ্ঞা। আজকের প্রতিজ্ঞা হোক তারুণ্যের প্রথম ভোট তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের জন্য হোক।

৪ কোটি নতুন ভোটারের নতুন সুযোগ : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশের প্রায় ১৩ কোটি ভোটারের মধ্যে গত দেড় দশকে ভোটার তালিকায় এ পর্যন্ত প্রায় চার কোটি নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে। তোমরা ভোটার হলেও ফ্যাসিবাদ চক্র তোমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে এবং এই নির্বাচনে তোমাদের হারানো ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক বিরাট সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বিএনপির গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য, পলাতক স্বৈরাচারের শাসন আমলে গত দেড় দশকে ভোট প্রয়োগের অধিকার বঞ্চিত সাড়ে তিন কোটি ভোটারসহ আমি সবার সমর্থন এবং সহযোগিতা চাই।

শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন, কর্মসংস্থান ভিত্তিক শিক্ষা, যোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা, ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা, ই-কমার্স, আউটসোর্সিং, উচ্চ শিক্ষায় মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তোলা, বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগসহ বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সারাদেশের শিক্ষার্থী ছাত্রদলের নেতাকর্মী এবং তরুণ প্রজন্মের ভাই-বোনেরা তোমাদের এই সমাবেশে এবং তোমাদের মাধ্যমে সারাদেশের শিক্ষার্থী এবং তরুণ প্রজন্মের সামনে বিএনপির গৃহীত কয়টি প্ল্যান প্রোগ্রাম তুলে ধরার অবশ্যই একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। কি সেই উদ্দেশ্য, কি সেই লক্ষ্য?

সেটি হল আমাদের প্রত্যেকেরই মা রয়েছে। একজন মায়ের চোখে বাংলাদেশ যেমন অর্থাৎ আগামী দিনে আমরা নবীন এবং প্রবীণ সবাই মিলে তেমন একটি বাংলাদেশ করতে চাই। একজন মায়ের চোখে যেমন বাংলাদেশ তেমন একটি বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই নবীন এবং প্রবীণ সকলে মিলে।

তিনি বলেন, এই গ্লোবালাইজেশনের সময়ে প্রযুক্তির কল্যাণে নারী-পুরুষ সকলের সামনে সকল সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত, আমাদের তারুণ্য-শিক্ষার্থীরা যাতে সকল সম্ভাবনাকে সাফল্যে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয় এইজন্য একটি বাস্তবধর্মী সুষ্ঠু নীতি পরিকল্পনা আমরা তৈরি করছি। এটি বিএনপি তরুণ প্রজন্মের সামনে উপস্থাপন করতে চাই যাতে করে আগামী দিনে তোমাদের পথ চলা সহজ হয়ে যায়। তথ্য-প্রযুক্তির এই সময়ে বিশ্ববাজারের সঙ্গে দক্ষতা এবং যোগ্যতার প্রতিযোগিতায় যদি টিকে থাকতে হয় তাহলে অবশ্যই তোমাদের সকলকে তথ্য-প্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে জনগণের রায় বিএনপি আবারো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে এইবার আমরা স্কুল পর্যায় থেকে কারিকুলামের ভেতরে আইসিটি এবং কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থাটিকে আমরা প্রবর্তন করব।

তারেক রহমান বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর বাংলাদেশের জনগণ আর বিভেদ, বিরোধ, প্রতিহিংসা, প্রতিশোধের রাজনীতি তারা চায় না। রাজনৈতিক দলগুলোকে সেভাবে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। জনগণ চায় রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন। কথামালার রাজনীতি নয়, শুরু করি মানুষের জীবনমান উন্নয়নের রাজনীতি। জনগণের জীবনমান উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে তরুণদের। এজন্য জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা-দীক্ষায় নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। নিজেদের গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশকে গড়ে তুলতে হবে।

বিএনপির আগামী দিনের নীতি-ধর্মীয় সামাজিক মূল্যবোধে উচ্চকিত মানবিক মানুষ গড়ার রাজনীতি করতে চায়। বিএনপির রাজনীতি কর্মসংস্থান সৃষ্টি আর নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার রাজনীতি। জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করার রাজনীতি, মানবিক মূল্যবোধে উচ্চকিত কর্মমুখী শিক্ষা, কারিকুলাম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের রাজনীতি।

তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীদের কোন একটি রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হতে হবে এটি জরুরি বিষয় নয়, তবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে যার যার অঙ্গনে সফল হওয়ার জন্য নিজেদেরকে যোগ্যতম হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা থাকতে হবে। তোমরা নিজেদের যোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে তুলবে। এটি জরুরি। যোগ্য নেতৃত্বের অর্থ শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলের পদ-পদবি অর্জন কিংবা এমপি-মন্ত্রী হওয়া নয়, বরং শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ব্যবসা প্রত্যেকটি সেক্টরে দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন। কারণ এইসবগুলো বিষয়গুলোর সাথে দেশের এগিয়ে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। প্রত্যেক সেক্টরে যোগ্য নেতৃত্বই পারে আগামীর বাংলাদেশ বদলে দিতে এবং শহীদদের কাক্সিক্ষত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে।

বিএনপি প্রধান বলেন, শিক্ষাজীবন শেষে একজন শিক্ষার্থী কিভাবে সহজে কর্মজীবন শুরু করতে পারে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য চিন্তা-ভাবনার বিষয়। ভবিষ্যতে একজন শিক্ষার্থী যাতে কর্মসংস্থান নিয়ে হতাশায় পড়তে না হয় এজন্য বিএনপি সে আলোকে শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য পরিকল্পনা তৈরি করছে। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের যদি স্কুল পর্যায় থেকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে (যার যে বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে) ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের ব্যবস্থা করে দেয়া যায়, তাহলে শিক্ষার্থীর বাস্তব অভিজ্ঞতা তৈরি হবে এবং তখন একজন শিক্ষার্থী যদি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে কিংবা ড্রপআউট হয় তাহলেও তাকে বেকারত্বের অভিশাপ পোহাতে হবে না। বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকলে শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করার পর চাকরির জন্য সময় ক্ষেপণ করতে হবে না। সেলক্ষ্য সামনে রেখে বিএনপি স্কুল পর্যায় থেকেই ব্যবহারিক ও কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর কাজ করছে।

তিনি বলেন, আগামী দিনে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে স্কুল পর্যায় থেকে শিক্ষা কারিকুলামের ভেতরে আইসিটি ও কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করবো। শুধু এটাই নয়, আবশ্যিক হিসেবে খেলাধুলা, আর্ট ও কালচারকে কারিকুলামে নিয়ে আসবো। যাতে শিক্ষার্থীরা যার যেটি পছন্দ সে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারে। একাধিক ভাষা জানা যেকোন ব্যক্তির জন্যই দেশে হোক-বিদেশে হোক নিজের মেধা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগানোর সুযোগ বেশি। বিএনপি তরুণ প্রজন্মের সামনে একাধিক ভাষা শেখার সুযোগ করে দিতে চায়। এখন বাংলা ও ইংরেজি শেখার সুযোগ আছে। ইংরেজিতে জোর দিতে চাই, যাতে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীরা আরো দক্ষ হতে পারে। এর পাশাপাশি আরবি, মান্দারিন, জার্মান, ফ্রেঞ্চ, জাপানিজ ভাষা শেখার সুযোগ করে দিবে এর মধ্য থেকে শিক্ষার্থীরা বেছে নেবে কোন তৃতীয় ভাষা তারা শিখতে চায়।

‘উগ্রপন্থা ঠেকাতে হবে’
তারেক রহমান ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, দেশের সকল শিক্ষার্থী এবং তরুণ প্রজন্মের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, আজকের এই তারুণ্য আজকের এই শিক্ষার্থীরা আগামীর বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশে, ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ চরম পন্থার উৎখাত কিংবা পুনর্বাসন, চরমপন্থার উৎখাত কিংবা পুনর্বাসন ঠেকাতে শিক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে, সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে যার আহ্বান আজকের এই সমাবেশের সভাপতি (ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব) সকলকে দিয়ে গিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ। ফ্যাসিবাদ শাসন আমলের ভিন্নদল ভিন্নমতের শিক্ষার্থীদের জন্য এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো অন্যান্য ক্যাম্পাসগুলোকে সেই সময় কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করা হয়েছিল। বর্তমানে যারা এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাদের সামনে এই ক্যাম্পাসকে জ্ঞান চর্চা এবং গবেষণার একটি নিরাপদ ভূমি হিসেবে প্রতিষ্ঠার সুযোগ এসেছে। প্রাচ্যে অক্সফোর্ড খ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবজনক ইতিহাস আবারো ছড়িয়ে দিতে হবে। তোমাদের যারা উত্তরসূরী শিক্ষার্থী তাদের মনের ভিতরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মী এবং কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আমি সরাসরি কথা বলেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট নিরসনে আবাসিক হলগুলোতে বসবাস এবং খাবারের মান বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। এ ব্যাপারে আমি শিক্ষার্থীদের এর সঙ্গে কথা বলে হলগুলোতে বিদ্যমান সমস্যা এবং সমাধানের একটি লিখিত প্রস্তাবনা বিএনপির কাছে উপস্থাপনার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদেরকে আমি আহ্বান জানাচ্ছি। একইভাবে একইভাবে দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সেইসব বিশ্ববিদ্যালয় সমস্যা এবং সম্ভাবনা নিয়ে সুপারিশসহ রিপোর্ট তৈরি করার জন্য ইতোমধ্যেই বিএনপির পক্ষ থেকে ছাত্রদলের সংশ্লিষ্ট নেতৃত্বকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ছাত্র দলের সভাপতি রাকিব্লু ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্র দলের সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসার মো. ইয়াহিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে ছাত্র দলের সাবেক নেতাদের মধ্যে নাজিম উদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশীদ হাবিব, আকরামুল হাসান, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও রাশেদ ইকবাল খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।”

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network