1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
পটুয়াখালী হাসপাতালে ৬৫১ কোটি টাকায় ভবন, তবু মেঝেতে চিকিৎসা - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১২ পূর্বাহ্ন

পটুয়াখালী হাসপাতালে ৬৫১ কোটি টাকায় ভবন, তবু মেঝেতে চিকিৎসা

  • আপডেট সময় : সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণে ২০১৪ সালে প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পটির এক দশকে অর্থ বরাদ্দ ৫৪৬ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৬৫১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। শেষ হয়েছে বর্ধিত মেয়াদও। তবু কাজ শেষ হয়নি। এতে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলাবাসী।

জানা গেছে, ৫৪৬ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। তখন নির্ধারণ ছিল, ২০২০ সাল নাগাদ হাসপাতালটি চালু করা হবে। কিন্তু করোনা মহামারি, নির্মাণসংক্রান্ত ত্রুটি, বিদ্যুৎ-সংযোগের অভাবসহ বিভিন্ন কারণে কাজ বারবার পিছিয়ে যায়।

বর্তমানে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫১ কোটি টাকা এবং নতুন সময়সীমা ধরা হয়েছে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পটির কার্যাদেশ পায় ঝালকাঠির খান বিল্ডার্স ও বঙ্গ বিল্ডার্স (জেভি)। কাজ বাস্তবায়ন করেন ঠিকাদার নাসির খান।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে ভবনের ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে এখনো ভবনে বিদ্যুৎ-সংযোগ ও অক্সিজেন সরবরাহ লাইন স্থাপিত হয়নি। এসব কারণে হাসপাতাল ভবনটি স্বাস্থ্য বিভাগে হস্তান্তর হয়নি। ফলে পাশের পুরোনো ২৫০ শয্যার হাসপাতালেই ৩ গুণ রোগী নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, শয্যাসংকটের কারণে অনেক রোগীকেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে হাসপাতালের মেঝেতে। এ সময় শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি এক শিশুর মা নিলুফা বেগমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, একটা বেডে তিনটা বাচ্চা আর তাদের মায়েদের থাকতে হচ্ছে। এই কষ্ট কোনোভাবেই সহনীয় নয়। একই কষ্টের কথা জানান আরেক রোগীর স্বজন শেফালী বেগম ও সিরাজ মিয়া। সিরাজ বলেন, ‘নতুন বিল্ডিংটা দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু আমরা মেঝেতে। এটা খুবই দুঃখজনক।’

এ বিষয়ে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা বলেন, ‘নতুন ভবনটি চালু হলে আমরা ৫০০ শয্যার সুবিধা দিতে পারব। এতে করে রোগীদের চাপ অনেকটাই কমে আসবে। আমরা আগেও শুনেছিলাম, জুন মাসে ভবনটি হস্তান্তর হবে, কিন্তু এখন জুলাইয়ের শেষ দিকেও তা হয়নি।

প্রতি মাসেই শুনছি, দুই সপ্তাহ বা এক মাসের মধ্যে হস্তান্তর হবে। বাস্তবে ভেতরের অবকাঠামো ৯৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। তবে সাবস্টেশন ও অক্সিজেনের লাইন স্থাপন এখনো চলছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যেই ভবনটি বুঝে পাব।’

এ বিষয়ে ঠিকাদার নাসির খানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। প্রকল্প পরিচালক ডা. এস এম কবির হাসান বলেন, ‘নানা কারণে কাজ পিছিয়েছে। আগামী দুই-এক মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ-সংযোগ পেলে নতুন ভবনে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে পুরো কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।’

পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা হাসপাতালের কাজ প্রায় শেষ করেছি। এখন বড় বাধা বিদ্যুৎ-সংযোগ। এর জন্য আমাদের সাবস্টেশন দরকার ছিল, সেটিও এনে ফেলেছি। অনুমোদন ও সংযোগ স্থাপনের প্রস্তাব বিদ্যুৎ বিভাগের খুলনার প্রধান কার্যালয়ে রয়েছে। অনুমোদন পেলেই ১৫-২০ দিনের মধ্যে চালু করা সম্ভব হবে। আমরা প্রস্তুত আছি।’

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network