
উজিরপুর প্রতিনিধিঃ “জুলাই” ঢাকায় কোটা বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের বর্বর গুলিবর্ষণে নিহত উজিরপুরের দুই কৃতি সন্তানকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ আগষ্ট মঙ্গলবার সকাল ৮ টায় উজিরপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পৃথক পৃথক ২ নিহতের কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজা। উপস্থিত ছিলেন উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম,উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ,কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মোঃ মাহামুদুল হাসান, উপজেলা রিসট সেন্টারের ইনেসপেক্টর আব্দুল গাফফার,উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ রহমতুল বারী,পরিসংক্ষন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নুর হোসেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ এমদাদুল কাসেম সেন্টু, সদস্য আহাদ সুমন, উজিরপুর দাখিল ও আলীম মাদ্রাসার অধ্যাক্ষ আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম আযাহারী, বড়াকোঠা ইউনিয়ন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের আমীর মোঃ আনোয়ার হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দ।
২০২৪ সালের সালের ৫ই আগষ্ট ছাত্র-জনতা, বিএনপি,জামায়াতে ইসলামী,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত আন্দোলনের মুখে তৎকালীন স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে ভারতে চলে যায়। বাংলাদেশ আবারও ২য় বারের মতো স্বাধীনতা লাভ করেন।
উল্লেখ্য ১৯ জুলাই শুক্রবার ঢাকায় আওয়ামীলীগের দোসর ও বেপরোয়া পুলিশ বাহিনীর গুলিতে উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের পূর্ব কেশবকাঠী গ্রামের কামাল হোসেন শুক্কুর মোল্লার একমাত্র ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান মোল্লা(২৫) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এছাড়া বড়াকোঠা গ্রামের মৃত মোঃ চাঁন্দু মোল্লার ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম মোল্লা(২৩) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। উজিরপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নিহতদের কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়। পরিশেষে উজিরপুর উপজেলা মানবিক ও দক্ষ ইউএনও মোঃ আলী সুজা নিহত ২ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নেন।