
চরফ্যাশন(ভোলা) প্রতিবেদক// ভোলার চরফ্যাশনে সংখ্যালঘু পরিবারের আপন দুই ভাইকে নৃশংসভাকে হত্যার দায়ে তিন আসামীকে ফাঁসির রায় প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার(৬ আগষ্ট) দুপুরে ভোলার চরফ্যাশন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শওকত হোসেন এই রায় প্রদান করেন।
আসামীরা হলেন-চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের মো.জাফরুল্লাহ ফরাজী ছেলে মো.বেল্লাল ও একই উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সামছুদ্দিনের ছেলে মো. সালাউদ্দিন এবং একই ওয়ার্ডর শাহে আলম মুন্সীর ছেলে মো.শরিফুল ইসলাম।
এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন চরফ্যাশন আদালতের এডিশনাল পিপি এডভোকেট: হযরত আলী হিরন। তিনি জানান, ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায় বিচার পেয়েছেন। এর জন্য তিনি এই মামলার বিচারক এডিশনাল জজ শওকত হোসেনের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি আরো জানান, সকল সাক্ষী ও প্রমাণের ভিত্তিকে আদালত এই প্রায় প্রদান করেন। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা পৈশাচিকভাবে ও নির্মম কায়দায় এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল রাতে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। তবে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মো.শরীফুল ইসলাম ছাড়া বাকী দুই আসামী মো. বেলাল ও সালাউদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
মামলার বাদী পক্ষের লোকজন রায়ের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেব। তারা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদেরকে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলানোর দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সংখ্যালঘু পরিবারের দুই ভাই তপন চন্দ্র শীল ও দুলাল চন্দ্র শীল হত্যার প্রায় তির বছর আগে চরফ্যাশন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের পৈতৃক ৫৬ শতাংশ জমি বিক্রি করে ভারত চলে যান। ওই জমি ২০ লাখ টাকায় কিনে নেন আছলামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. বেলাল ও তার শ্বশুর আবু মঝি। তবে তারা মাত্র তিন লাখ টাকা বায়না দিয়ে দলিল করে নেন তারা। বাকি টাকা নেয়ার জন্য তপন ও দুলাল ভারত থেকে বাংলাদেশে আসেন । তখন দুই ভাইকে ঘুরাতে থাকেন তারা। এক পর্যায়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন বেলাল। ওই দুই ভাইকে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল রাতে টাকা দেয়ার কথা বলে চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুন্দরীর ব্রিজে কাছে নির্জন বাগানে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এবং তাদের মাথা সেফটি ট্যাংকিরতে ফেলে দেয়।