
নিজস্ব প্রতিবেদক// দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। এই টুর্নামেন্টের গত ১০ আসরে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটের তিনটি ভেন্যুতে খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে আসন্ন আসরে এই ৩ ভেন্যুর বাইরে আরও দুটি ভেন্যুতে খেলা আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রোববার (১০ আগস্ট) রাজশাহীতে একটি প্রীতি ম্যাচের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এসব কথা জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়াঁ। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উত্তরবঙ্গ থেকে রাজশাহী স্টেডিয়াম এবং দক্ষিণবঙ্গ থেকে বরিশাল ও খুলনা স্টেডিয়ামকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘তিনটা স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক এবং বিপিএলসহ ম্যাচগুলো হয়ে থাকে। এটাকে আমরা একটু বিকেন্দ্রীকরণ করার জন্য ইতোমধ্যেই উত্তরবঙ্গের দিকে রাজশাহী স্টেডিয়াম এবং দক্ষিণবঙ্গের দিকে বরিশাল বা খুলনা স্টেডিয়ামে সামনের বছর থেকে বিপিএল আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছি।’
গতবছর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফারুক আহমেদ। কিন্তু দেশের ক্রিকেটে বিকেন্দ্রীকরণ আলোর মুখ দেখেনি। তবে আমিনুল ইসলাম বুলবুল বিসিবির নতুন সভাপতির পদে যোগদানের পর থেকেই দেশের ক্রিকেটে বিকেন্দ্রীকরণ ধারণা জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে।
আসন্ন এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে খেলা না রেখে রাজশাহী ও বগুড়াকে বেছে নেয়া হয়েছে। বিপিএলের ভেন্যুতেও আসতে পারে নতুন সংযোজন। গত মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে বিপিএলে অন্তত একটি ভেন্যু বাড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম।
রাজশাহী, বগুড়া, খুলনা এবং বরিশাল এই চারটি ভেন্যুই আপাতত বিসিবির বিবেচনায় আছে। এই চারটির মধ্যে খুলনা এবং বগুড়ায় ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহীতে বয়সভিত্তিক এবং ঘরোয়া পর্যায়ের অনেক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। বরিশালে অবশ্য খেলা হয় না অনেকদিন ধরেই।
তবে আন্তর্জাতিক মানের টুর্নামেন্ট জন্য সবগুলো স্টেডিয়ামেরই ভালোভাবে সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে শেষবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে ১৮ বছর আগে। সর্বশেষ এক দশকে এখানে তেমন কোনো খেলাই হয়নি। তাই আন্তর্জাতিক মানের করে স্টেডিয়ামটিকে প্রস্তুত করতে হবে।
খুলনা স্টেডিয়ামেরও একই হাল। গত ৮ বছর ধরে এই স্টেডিয়ামে কোনো ম্যাচ হয় না। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এটারও বেহাল দশা। আন্তর্জাতিক ম্যাচ ফেরার আগে তৈরি করতে হবে সেই মানের করে। বরিশাল স্টেডিয়াম অবশ্য সংস্কারের কাজ চলছে পুরোদমে। দর্শকপ্রিয়তার বিবেচনায় এখানেও আসতে পারে বিপিএল।
এদিকে, বাংলাদেশ হাই-পারফরম্যান্স দলের সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে পিচ এবং দর্শকপ্রিয়তা দিয়ে নজর কেড়েছে রাজশাহী স্টেডিয়াম। সুযোগ-সুবিধার দিক থেকেও রাজশাহী শহরের এই স্টেডিয়াম এগিয়ে থাকবে। এখন দেখার বিষয় কোন দুটি স্টেডিয়াম যুক্ত হচ্ছে আগামী বিপিএলে।