1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
কুয়াকাটায় ৫ কোটি টাকার সৈকত সড়ক সমুদ্রে, পরিদর্শনে অনিয়মের সত্যতা পেলো দুদক - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন

কুয়াকাটায় ৫ কোটি টাকার সৈকত সড়ক সমুদ্রে, পরিদর্শনে অনিয়মের সত্যতা পেলো দুদক

  • আপডেট সময় : সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক// পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৩০০ মিটার নির্মাণাধীন সৈকত সড়কটি সমুদ্র গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই জোয়ারের পানিতে গত ২৯ মে সড়কটি সমুদ্রে বিলীন হয়ে যায়। এতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে।

 

এ ঘটনায় ঐদিন ৭ সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে উপজেলা প্রশাসন। সম্প্রতি সড়কটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হওয়ার পরে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন। পরে সড়কটি পরিদর্শনে আসেন বিভাগীয় কমিশনার। এ ঘটনায় দুদক কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নামেন দুদক।

 

সোমবার (১১ জুলাই) দুপুরে কুয়াকাটা ডিসি পার্ক সংলগ্ন এলাকায় ধসে যাওয়া সড়কের কাজের মান পরিদর্শন করেন দুর্ণীতি দমন কমিশনের পটুয়াখালী জেলার সহকারী পরিচালক তাপস বিশ্বাসের নেতৃত্বাধীন একটি টিম।

 

পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক খালিদ হোসেন, কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক।

 

পরিদর্শন শেষে সহকারী পরিচালক তাপস বিশ্বাস বলেন, এই প্রকল্পের অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ আমাদের দুদকে একটি অভিযোগ জমা পরে। তারই প্রেক্ষিতে আজ সরেজমিনে এসে আমরা যেটুকু পেয়েছি, তাতে বুঝা যায় এটা একটি অপরিকল্পিত প্রকল্প। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। যার মধ্যে ১ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা ইতোমধ্যেই উত্তোলন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার পুরো টাকাটাই জলে ভেসে গেছে।

 

এই প্রকল্পের শুরুতে একটি টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিৎ ছিল। যেটি করা হয়নি। আমাদের কাছে জমা পড়া অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। আমরা সরেজমিনে যা পেয়েছি তার একটি রিপোর্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিব। কমিশন থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

জানা গেছে, পৌরসভার তৎকালীন মেয়র আনোয়ার হাওলাদারের ঘনিষ্ঠ তিন সহযোগী কাজ করেন। মেসার্স মোল্লা ট্রেডার্স, মেসার্স আবরার ট্রেডার্স ও এস এম ট্রেডার্স। স্থানীয়দের অভিযোগ ইট ও বালু দিয়ে নিম্নমানের কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। অথচ পৌর মেয়রের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি।

 

স্থানীয় প্রশাসন, নাগরিক সমাজ ও পর্যটকদের চোখে এখন এ প্রকল্পটি ‘দৃষ্টান্তমূলক ব্যর্থতা’র প্রতীক। কোটি টাকার প্রকল্পে দায়িত্বহীনতা, স্বজনপ্রীতি ও পরিকল্পনার অভাব—সব মিলিয়ে প্রকৃত তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছেন সকলে।

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network