
নিজস্ব প্রতিবেদক,বরিশাল// সহপাঠীদের ওপর হামলায় জড়িত তিন শিক্ষকের অনতিবিলম্বে বহিষ্কার ও প্রহসনমূলক ক্লাস রুটিন প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন রুটিন প্রকাশ করার দুই দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস, ল্যাব প্র্যাকটিস ও ক্লাস বর্জন করে বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় বরিশাল নার্সিং কলেজের অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের নির্লিপ্ততার প্রতিবাদে কালো ব্যাজ ধারণ করে এবং হামলায় অভিযুক্ত তিন শিক্ষক সম্পর্কে দেয়াল লিখনির আয়োজন করে। এর আগে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা হামলায় অভিযুক্ত তিন শিক্ষককে ক্যাম্পাসে লাল কার্ড প্রদর্শন করার পাশাপাশি চোখে লাল কাপড় বেধে প্রতীকী নীরবতা প্রকাশ করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে আমরা আন্দোলন শুরু করেছিলাম। গত ৬ মে আমাদের আন্দোলনে বহিরাগতদের এনে হামলা চালানো হয়। আমরা হামলাকারী ও তাদের মদদদাতা অত্র কলেজের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছিলাম।
কিন্তু ঘটনার দীর্ঘ চারমাস হয়ে গেলেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। শিক্ষক আলী আজগর, সাইদ হোসাইন রনি ও ফরিদা বেগম এখনো স্বপদে বহাল আছেন। আমাদের লাঞ্ছিত করেও যারা ক্যাম্পাসে আছেন তাদের অনতিবিলম্বে বদলি বা অপসারণ করতে হবে। নয়তো এই আন্দোলন অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে।
স্টুডেন্ট নার্সেস ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন বরিশাল নার্সিং কলেজের দপ্তর সম্পাদক ফজলে রাব্বি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধারাবাহিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এরই মধ্যে ক্লাস বর্জন করে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। যার মধ্যে প্রশাসনের নির্লিপ্ততার প্রতিবাদে আজ কালো ব্যাজ ধারণ করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করছে।