1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
পটুয়াখালীর বগা ফেরিতে চলছে বকশিশ বাণিজ্য! - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন

পটুয়াখালীর বগা ফেরিতে চলছে বকশিশ বাণিজ্য!

  • আপডেট সময় : রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মো.আরিফুল ইসলাম,বাউফল// পটুয়াখালীর বাউফলের লোহালিয়া নদীর বগা ফেরিতে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগে ইজারা বাতিল হলেও বকশিশের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে । চলা চলকারি যানবাহনের চালকদের অভিযোগ প্রতিদিন ফেরিতে ওঠা মালবাহী ও যাএী পরিবহন থেকে হাজার হাজার টাকা বকশিসের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়াগেছে।

 

স্থানীয় সূত্র জানায়, ফেরি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগের চার পাচ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকলেও অতিরিক্ত ৭-৮ জন স্থানীয় লোকজনকে দায়িত্বে বসানো হয়েছে। আর তারা সিন্ডিকেট করে বকশিশ আদায়ের নামে চাঁদাবাজি করছে ।

 

সড়ক ও জনপথ বিভাগের ফেরিতে দায়িত্বে থাকা কর্মচারিদের মধ্যে কার্যসহকারী মোস্তাফিজুর রহমান, ওয়ার্ক সুপারভাইজার এনামুল, গ্রীজার সেলিম, এবং শ্রমিক সাব্বির। আর বকশিশ আদায়কারী সিন্ডিকেটে রয়েছে শাহীন নানের এক যুবক তিনিই এই বকসিস পার্টির প্রধান হিসাবে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করছেন।

 

এ চাঁদার টাকা ভাগবাটোয়ারা তার হাতে হচ্ছে। বাদল নামের এক যুবক সেকেন্ড ক্যাশিয়ার শাহীনের পরেই অবস্থান, অনন্য হলো রফিক, কাইয়ুম, নুরুজ্জামান, রাকিব, কবির, জাফর, জুলহাস, সালেহ ও শাহ আলম। এরা বগা এবং চরগরবদী এলাকার।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মালবাহী ও যাত্রীবাহি চালকদের অভিযোগ প্রতিদিন গড়ে ১০০ – ১৫০টি মালবাহী ও যাএী পরিবহন থেকে ৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এতে ৫-৬ হাজার টাকা। ৫০টি ট্রাক থেকে ৫০ টাকা করে আদায় হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকা। মিনিবাস, পিকআপ, কভার্ড ভ্যান, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, অটো ও টমটমসহ সব মিলে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৬ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা বকশিসের নামে চাঁদাবাজি করছে। এতে চলাচলকার যানবাহনের চালকররা

 

পরিবহনের নির্ধারিত টোলের চেয়ে অতিরিক্ত ৫০/২০ টাকা বকশিশ বাণিজ্যে রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। দশমিনা বাউফল বরিশাল ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচলকারী পরিবহনের চালক ও সুপারভাইজাররা জানান, এ বকশিষের প্রতিবাদ করলে তাদের সিরিয়াল পরে দেয়া হয়।

 

 

আবার কখন তাদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয়। বাউফল-ঢাকা রুটের পরিবহন সুপারভাইজার কবির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বকশিশ না দিলে ফেরীর লোকজনের হাতে নাজেহাল হতে হয়। পিকআপ চালক মোশাররফ বলেন, ফেরীতে ওঠলেই বকশিশ আদায়কারী শ্রমিকরা গাড়ীর সামনে দাড়িয়ে বকশিশ দাবি করেন।

অতিরিক্ত ৫০টাকা দিতে না চাইলে কয়েকজন তেড়ে আসে। নাজেহালের ভয়ে দূরদূরান্তের গাড়ী চালকরা তাদের দাবিকৃত বকশিশ দিতে বাধ্য হন। একই অভিযোগ স্থানীয় মোটরসাইকেল ও অটো চালকদের। প্রতিটি মোটর সাইকেলে অটোর সরকারি ভাড়ার রেট পাচ থাকলে ১০/২০ টাকা হারে নিচ্ছে টোলের সাথে বকশিশের নামে অতিরিক্ত টাকা যোগ করে টাকা আদায় করা হচ্ছে।

 

ফেরিতে থাকা কার্য সহকারী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,ফেরি চালিয়ে লস হচ্ছে। কারণ এটা ১০-১২ বছর আগের রেটে ভাড়া তোলা হচ্ছে। আর চাঁদা নয়,স্থানীয় যুকরা এটা করছে। এদের আমরা বাঁধা দেয়ার সাহস পাচ্চিনা। প্রভাবশালীদের লোক।
ভুক্তভোগীরা জানান, সরকারি নির্ধারিত ভাড়া থাকলেও বকশিশের নামে অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ ও পরিবহন শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ।

 

পটুয়াখালী সওজ‘র নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জামিল হোসেন বলেন, জনবল সংকটের কারণে স্থানীয় ৭/৮জন লোক দিয়ে টোল কালেকশনের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নির্ধারিত ফেরী ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা আদায় করার কথা নয়। বকশিশ বাণিজ্য হয়ে থাকলে অবশ্যই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network