1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
গ্রেপ্তার আতঙ্কে গোয়ালন্দের অধিকাংশ মসজিদে নেই ইমাম-মুয়াজ্জিন - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০২:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ বরিশালে অ-সমাপ্ত ব্রিজে স্থানীয়রা বন্দী, কর্তৃপক্ষ অচল! বরিশালে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর বাজার পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতা, প্রতিহতের ঘোষণা লালমোহনে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক সেতুতেু উঠতে না দেয়ায় পদ্মা নদী সাতরে পার হওয়ার চেষ্টা , অসুস্থ ভোলার ২ যুবক কলাপাড়ায় মুচি ও ছাতা মেরামতকারীদের ৭০ বছরের অপেক্ষার অবসান পটুয়াখালীতে চিরকুটে লেখা ‘মান সম্মান সব গেছে’, পাশে দম্প‌তির মরদেহ কাউখালীতে মাল্টার বাম্পার ফলন পোস্টার টাঙানো নিয়ে জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষ

গ্রেপ্তার আতঙ্কে গোয়ালন্দের অধিকাংশ মসজিদে নেই ইমাম-মুয়াজ্জিন

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ইমাম মাহদি দাবি করা নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার বাড়িতে হামলার ঘটনায় ২ মামলায় ১৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। জনমনে সৃষ্টি হয়েছে গ্রেপ্তার আতঙ্ক।

গ্রেপ্তার আতঙ্কে উপজেলার অধিকাংশ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা গা-ঢাকা দিয়েছেন। এমনকি বাজারের অনেক দোকানদার তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার যেসব মসজিদের ইমামদের বাড়ি গোয়ালন্দের বাইরে শুক্রবারের ঘটনার পর তারা কেউ ছুটি নিয়ে আবার কেউ ছুটি ছাড়াই মসজিদ ছেড়ে নিজ নিজ বাড়ি অথবা সুবিধাজনক স্থানে চলে গেছেন। স্থানীয় ইমামদের মধ্যেও অধিকাংশ মসজিদ ও বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছেন। ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির নেতারাও গ্রেপ্তার আতঙ্কে সতর্কভাবে চলাফেরা করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জেম জানান, আমরা ছুটিতে রয়েছি। ছুটির বিষয়টি জানতে চাইলে তারা বলেন, গোয়ালন্দ উপজেলায় একটি ঝামেলা হয়েছে। সেই ঝামেলাকে কেন্দ্র করে সাধারণ ইমাম মোয়াজ্জেম আমরা খুব আতঙ্কে আছি।

দৌলতদিয়া একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন আজিম খাঁ বলেন, এখানকার ইমাম হাফেজ মো. মনিরুজ্জামান শুক্রবারের ঘটনার পর মাগুরায় তার গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। এখন আমি নামাজ পড়াচ্ছি।

একইভাবে ইদ্রিসিয়া ইসলামিয়া জামে মসজিদের ইমাম মুফতি আব্দুল লতিফ শুক্রবারের পর তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে চলে গেছেন। গোয়ালন্দ বাজার বড় মসজিদের ইমাম এবং উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ আবু সাইদ মুঠোফোনে বলেন, আমার এক আত্নীয় অসুস্থ তাই তাকে দেখতে আসছি। শুক্রবারে কিছু উশৃঙ্খল যুবক প্রশাসনের গাড়ি ভেঙছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, নুরাল পাগলার বাড়িতে এবং তার মরদেহের সঙ্গে যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা পবিত্র ধর্ম ইসলাম সমর্থন করে না। আমি এর তীব্র নিন্দা ও দায়ীদের শাস্তি দাবি করছি।

এদিকে গোয়ালন্দ বাজারের বেশ কিছু ব্যবসায়ীর দোকানপাট শুক্রবারের পর হতে বন্ধ থাকতে দেখা যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, শুক্রবারের ন্যক্কারজনক ঘটনার পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছি। কোনো ধরনের অন্যায় করিনি। তারপরও ভয় হয় কখন জানি কী হয়ে যায়।

এদিকে সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল নুরাল পাগলের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ও তার দরবার পরিদর্শনে আসেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশনস) মো. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি নিরপরাধ সাধারণ জনগণকে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য আশ্বস্ত করেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার বাদ জুমা গোয়ালন্দ শহরের ফকির মহিউদ্দিন আনছার ক্লাব ময়দানে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি। নুরাল পাগলার কাবাসদৃশ কবর ভেঙে নিচু করা ও তার দরবারে ইসলামবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবিতে এ সমাবেশ ডাকা হয়।

সমাবেশকে সফল করতে উপজেলার প্রতিটি মসজিদের ইমামরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা মুসল্লিদের উদ্বুদ্ধ করে সমাবেশে সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে একদল উশৃঙ্খল যুবক বিনা উসকানিতে পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং গাড়ি ভাঙচুর করে।

এ ঘটনায় ওই রাতে থানার এসআই সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া, সোমবার রাতে নিহত রাসেল মোল্লার বাবা আজাদ মোল্লা বাদী ৩৫০০ থেকে ৪ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এই দুইটি মামলায় এখন পর্যন্ত ১৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম বরেন, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় ভিডিও ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অযথা কাউকে গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হবে না।

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network