1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
অনলাইন জুয়ায় সর্বস্বান্ত মানুষ, বেড়েছে পারিবারিক অশান্তি - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন

অনলাইন জুয়ায় সর্বস্বান্ত মানুষ, বেড়েছে পারিবারিক অশান্তি

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মোবাইলে অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইন জুয়া ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। লোভে পড়ে বিভিন্ন বয়সের মানুষ, বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও তরুণরা এ জুয়ায় বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছে। জুয়ার নেশায় বুঁদ হয়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন অনেকে। এ কারণে বেড়েছে পারিবারিক অশান্তি ও দাম্পত্য কলহ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সহজে প্রচুর টাকা উপার্জনের লোভে পড়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সের অসংখ্য মানুষ জুয়ায় জড়িয়ে পড়েছে। তরুণদের অনেকেই কৌতূহলবশত এ খেলা শুরুর পরই নেশায় পড়ে যাচ্ছেন। প্রথমে লাভবান হয়ে পরবর্তী সময় খোয়াচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। বিভিন্ন নামের প্রায় ১০ থেকে ১২টির মতো অ্যাপসে সবচেয়ে বেশি জুয়া খেলা হয়।

এসব অ্যাপসের অধিকাংশই পরিচালনা করা হয় রাশিয়া, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে। বাংলাদেশে এগুলোর এজেন্ট রয়েছে। তারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জুয়ায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ বা প্রদান করে থাকে। এজেন্টদের মাধ্যমেই বিদেশে টাকা পাচার হয়।

ফরিদগঞ্জের এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, প্রথমে ৩৬ টাকা বিনিয়োগ করে ৩ হাজার টাকা পাই। ফলে লোভে পড়ে এ খেলায় আসক্ত হয়ে পড়েছি। গত ছয় মাসে এ জুয়ার নেশায় পড়ে বাবার দেওয়া মোটরসাইকেল বিক্রি করে দিয়েছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অটোরিকশাচালক বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রথমে অংশগ্রহণকারীদের জুয়ায় জিতিয়ে লোভে ফেলা হয়। এরপর নেশা ধরে গেলে একের পর এক টাকা খোয়ানোর ঘটনা ঘটতে থাকে। তখন আর বের হওয়ার পথ থাকে না। অনলাইন এ জুয়ার কারণে বাড়ছে পারিবারিক অশান্তি।

উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের বাসিন্দা এক গৃহবধূ বলেন, আমার স্বামী অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে ঘরের জিনিসপত্র বিক্রি করতেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হতে হতো। কলহ দেখা দেওয়ার একপর্যায়ে আমাদের পারিবারিকভাবে বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকরা সচেতনতা চালালে অনলাইন জুয়া কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network