
মোঃমনছুর আলম ভোলাঃ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক সেনা সদস্য মৃত আবু তাহের মিয়ার ছেলে দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম আকাশ কে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা ও তার পরিবারের নারীসহ সকল সদস্যদের উপর হামলার ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সোহেল হোসেন শিপন,সোহরাব হোসেন,নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা সম্রাট হোসেন শাকিল সহ মোট ৭ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম আকাশের মা বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় ২২ সেপ্টেম্বর রাতে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী সাংবাদিক মোঃ সাইফুল ইসলাম আকাশের মা খালেদা বেগম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের ক্ষমতা দেখিয়ে পক্ষিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও আওয়ামীলীগ আমলে সাবেক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতির ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সোহেল হোসেন শিপন,তার ভাতিজা ছাত্রলীগ নেতা সম্রাট হোসেন সাকিল,সোহরাব হোসেন বাবুল, নিরব হোসেন, তামিম ওরপে লাবিব, মহসীনা বেগম,লাকি বেগম সহ একত্রিত হয়ে আমাদের কাছ থেকে মাসিক চাঁদা নিত এবং আমাদের দখলীয় জমি নিজেরা দখল করে ভোগ করত। আমরা কখনো তাদের ক্ষমতার ভয়ে মুখ খুলে কথা বলতে পারিনি।
এর আগে আমার স্বামী জীবিত অবস্থায় তাকেও বার বার আক্রমণ করে হত্যার চেষ্টা করে। তখন আমরা বিচার চেয়েও বিচার পাইনি।
৫ ই আগষ্টের পরে আমার কাছ থেকে তারা পূনরায় আবার ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে, চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, তারা আমাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ ও হত্যার হুমকি দেয়।
তারই ধারাবাহিকতায় আমার ছেলে সাইফুল ইসলাম আকাশকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে ডেকে এনে তার উপর আক্রমণ করে। আমার ছোট ছেলে মোঃ রায়হান আকাশে বাঁচাতে গেলে তাকে হকিস্টিক, ভেলছা সহ বিভিন্ন অস্ত্র দ্বারা আক্রমণ করে।
এতে আমার ছোট ছেলে রায়হান মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে উদ্ধার করতে আমরা গেলে আমাকে ও আমার মেয়ে সায়মাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে ইজ্জতহানীর চেষ্টা করে। সে গর্ভবতী থাকা সত্ত্বেও সত অনুনয় করে তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি।
তিনি আরো বলেন,দ্বিতীয় বিবাহ করায় তার স্ত্রীর দেওয়া মামলায় পুলিশের এএসআই শরিফ হোসেন নিউটন বর্তমানে বরখাস্ত অবস্থায় আছেন দরখাস্ত থেকেও মোবাইল ফোনে আমার ছেলেকে হত্যার হুমকি দেন,পুলিশ থেকে বরখাস্ত কিছু কিন্তু এখনো পুলিশের ক্ষমতা দেখিয়ে আমার পরিবারকে শেষ করে চায় ওরা,আমরা নিরাপত্তাহীনতা ভুগতেছি।
এ বিষয়ে আমি বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় সোহেল হোসেন শিপন সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করি।
এদিকে এ বিষয় জানতে চাইলে, প্রদক্ষদর্শী মোঃ রাছেল ও কামালের মা বলেন, এতিম পেয়ে ছেলে দুইটারে মন মত পিটাইছে,বাচে না মরে আল্লাহ জানে,ওর মা ও বোন বাঁচাতে গেলেও তাদেরকেও রেহাই দেয়নি এই সন্ত্রীরা।
বর্তমানে আহত মোঃ রায়হান, খালেদা বেগম, সায়মা আফরোজ হাবীবা ও সাইফুল ইসলাম আকাশ বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
এ বিষয় জানতে চাইলে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন,আওয়ামীলীগ নেতা সোহেল হোসেন শিপন,সোহরাব হোসেন বাবুল,ছাত্রলীগ নেতা সম্রাট সহ ৭ জনকে আসামী করে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।