
নিজস্ব প্রতিবেদক; ঝালকাঠিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার নলছিটি উপজেলার ১২৫ নং বাইতারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে পাওয়া এ অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কাজ শুরু করেছে শিক্ষা বিভাগ।
গত বছরের (০১ জানুয়ারি) বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক বরাবর ১৮ জন সাক্ষর করে এ অভিযোগটি করেন। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্বে অনিয়ম দুর্নীতি ও নির্যাতনের হাত থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষার্থে সরজমিনে তদন্তের জন্য আসেন বরিশাল সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষ অফিসার নাছির উদ্দিন খলিফা।
সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের মজকুনী গ্রামের ১৮ জন বাসিন্দা নিজেদের স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ করেন। এরই মধ্যে দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি অনিয়মের বিরুদ্বে তদন্ত শুরু করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ওই স্কুলে কর্মরত আছেন। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তার নিজস্ব লোকজনকে নিয়ে স্কুলের বিদ্যোৎসাহী কমিটি গঠন করেছেন। ওই কমিটির সদস্যদের ছেলেমেয়েরা কেউ স্কুলের ছাত্রছাত্রী নয়।
এছাড়া প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে রয়েছে জমি দখলেরও অভিযোগ। স্থানীয় কবির হাওলাদারের জমি জোরপূর্বক দখল করে সেখানে একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করছেন। ওই ভবনের ঠিকাদার অভিযুক্তের সঙ্গে যোগসাজশে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে ভবনের কাজ করছেন। ঠিকাদারের কাছে থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুস নিয়ে স্কুল কমিটির সদস্যদের নিয়ে ভাগবাটোয়ারা করা হয়েছে। স্কুলের বিভিন্ন খাতে আসা সরকারি অর্থও বণ্টন করা হয়। স্কুলের কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করা হয় না।
তবে এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যার প্রমাণও আছে, এগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য কর্মকর্তা বরিশাল সদর উপজেলার প্রথমিক শিক্ষা অফিসার নাছির উদ্দিন খলিফা বলেন, আমরা বাদী-বিবাদীদের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য নিয়েছি। এর পাশাপশি প্রয়োজনীয় কিছু কাগজ সংগ্রহ করেছি। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিললে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’