
লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিপেটাসহ সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপের প্রতিবাদে ভোলার লালমোহন উপজেলায় কর্মবিরতি, বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকালে উপজেলা এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের (স্কুল, কলেজ, মাদরাসা) উদ্যোগে লালমোহন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরাস্তার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক শত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় বক্তারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গত ১২ অক্টোবর পূর্বঘোষিত লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। ওই দিন দুপুরের দিকে হঠাৎ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ শিক্ষকদের লাঠিপেটাসহ সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করেন। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষক আহত হন।
ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য রাজপথে দাঁড়ানো শিক্ষকদেরকে ফ্যাসিস্ট কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। যারা এমন ঘৃণ কাÐ ঘটিয়েছে তাদের শনাক্ত করে দ্রæত আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
একইসঙ্গে মানববন্ধন থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি ২০% বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও কর্মচারীদের ৭৫% উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন দ্রæত বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা ও অর্থ উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
তা না হলে, শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও ঢাকার শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে এবং প্রয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলানোর হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। মানববন্ধনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের প্রধান সমন্বয়কারী মো. আলমগীর হোসেন, লালমোহন ইসলামিয়া কালিম মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল হক, করিমুননেছা-হাফিজ মহিলা কলেজের প্রভাষক রেজাউর রহমান শাহিন, দ্বীপ শিক্ষা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইব্রাহীম খলিল, আব্দুল ওহাব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিনসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।