
এস এম আলমগীর হোসেন, কলাপাড়াঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্ত্রী রহিমা বেগম (২৫) ও শাশুড়ি রানী বেগমকে (৫০) কুপিয়ে গুরুতর জখমের ঘটনায় অভিযুক্ত জামাই মিরাজ হাওলাদারসহ সকল আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের পশ্চিম নিশানবাড়িয়া গ্রামে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ মোজাম্মেল হোসেন, সহকারী শিক্ষক মোঃ নুরুল ইসলাম, স্থানীয় আবুল হোসেন সিকদার, ভুক্তভোগী পরিবারের নুর মোহাম্মদ ফকির ও বশির ফকিরসহ অনেকে। এ সময় ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকার শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উত্তর চাকামইয়া গ্রামের মিরাজ হাওলাদারের সঙ্গে কয়েক বছর আগে রহিমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে মিরাজ তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে রহিমা কিছুদিন আগে বাবার বাড়িতে চলে আসে। পরে পারিবারিক সিদ্ধান্তে স্বামীর সঙ্গে আর না থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মিরাজ গত ২৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে স্ত্রী রহিমা ও শাশুড়ি রানী বেগমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় রহিমার পিতা নুর মোহাম্মদ ফকির বাদী হয়ে মিরাজ হাওলাদার, মোঃ সুলতান হাওলাদার, মোঃ ইউনুস, মোঃ ইমরান হোসেন, মোঃ মাসুদ, মোঃ ইউসুফ ও আসাদুজ্জামান ইউসুফ সহ সাতজনকে আসামি করে কলাপাড়া আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কলাপাড়া থানায় এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জুয়েল ইসলাম বলেন, “মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।”