1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
পিরোজপুরে চলাচল শুরুর আগেই ভেঙে পড়ল ৬ কোটি টাকার সেতু - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০১ অপরাহ্ন

পিরোজপুরে চলাচল শুরুর আগেই ভেঙে পড়ল ৬ কোটি টাকার সেতু

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা ও শিডিউল অনুযায়ী কাজ না করায় পিরোজপুরের নেছারাবাদে একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করে তা ভেঙে ফেলতে হয়েছে। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। উপজেলার পূর্ব জলাবাড়ি গ্রামে ভাতুরিয়া খালের ওপরে ওই ব্রিজের কাজ এক বছরে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল কার্যাদেশে।

তিন বছরের মাথায় সেই কাজ প্রায় সম্পন্ন হলেও ব্রিজের স্লাবে ফাটল দেখা দেয়। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ হলে কাজ পরিদর্শনে এসে ব্রিজের ঝুঁকিপূর্ণ স্লাব অপসারণ করে সংস্কারের জন্য ঠিকাদারকে নোটিশ দেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ওই ব্রিজের সংস্কারকাজ শুরু করার আগেই ব্রিজের পুরো স্লাব ভেঙে পড়ে খালে। জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব জলাবাড়ি খ্রিষ্টানপাড়া থেকে মাদ্রা বাজার সড়কের ওপর একটি প্যাকেজে ২২ ও ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর মেসার্স ইফতি ইটিসিএলকে কার্যাদেশ দেয় পিরোজপুর এলজিইডি। যার চুক্তি মূল্য ছিল ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর ব্রিজ দুটি নির্মাণকাজ শেষ হ‌ওয়ার কথা ছিল।

কার্যাদেশ পান পিরোজপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দীন মহারাজের সহোদর মিরাজুল ইসলাম। ঠিকাদার মিরাজুল ইসলাম নিজে কাজ না করে একজন সাব-কন্ট্রাক্টরকে দিয়ে কাজ করাচ্ছিলেন। তবে কাজের নিম্নমান এবং শিডিউল মেনে না করার কারণে স্থানীয়রা কাজে বাধা দেন।

পরবর্তী সময়ে আরেক সাব-কন্ট্রাক্টর গত বছরের শেষ দিকে গার্ডার ছাড়াই সেতুটির ছাদ ঢালাই দেয়। তবে এর কিছুদিন পরে ঢালাই দেওয়া অংশে ত্রুটি দেখা দেয়। তখন স্থানীয়দের আপত্তির মুখে এলজিইডি তদন্ত করে সেতুটির ঢালাই দেওয়া অংশ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই অনুযায়ী গত মঙ্গলবার সেতুটির ত্রুটিপূর্ণ অংশটির অপসারণ শুরু করে।

স্থানীয় বাসিন্দা দিপু মিস্ত্রি বলেন, এ ব্রিজটি চার বছর ধরে দফায় দফায় ঠিকাদার কাজের লোক বদলানো হচ্ছে। কাজ শুরুর দিকে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে ব্রিজ হচ্ছিল। শিডিউল অনুযায়ী উপকরণ না দেওয়ায় ব্রিজের স্লাব ফেটে যায়। পরে কাজ ফেলে রেখে সরে যান ঠিকাদার।

ফের এটা সংস্কারের জন্য আসে। সংস্কার শুরুর আগেই পুরো ব্রিজ ভেঙে খালের মধ্য পড়ে। এতে স্থানীয়রা এখন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তাদের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং এলজিইডির কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সেতু নির্মাণে অকল্পনীয় দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. রায়সুল ইসলাম জানান, কাজ নিয়ম অনুযায়ী না করায় পুরো স্লাব (ছাদ) ভেঙে নতুনভাবে নির্মাণকাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, মূল ঠিকাদারকে পাওয়া না যাওয়ায় কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন মিরাজুল ইসলাম।

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network