
ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির রাজপুরের শুক্তাগড় ইউনিয়নের সন্ধ্যা নদীতে গাছবাহী নৌকার ধাক্কায় ভেঙে যাওয়া ২২৫ ফুট দৈর্ঘ্যের আয়রন সেতু গত ছয় বছরেও মেরামত করা হয়নি। ফলে রাজপুর-কাউখালী এবং ঝালকাঠি উপজেলায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রায় ৩০টি গ্রামের বাসিন্দারা। বিশেষ করে সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী প্রতিদিন যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সেতুটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ মানুষ চলাচল করতেন। এই পথে হাট-বাজারে বিক্রির জন্য বিভিন্ন ধরনের পরিবহনে কৃষিপণ্য নিয়ে যেতেন চাষিরা।
এই নদীটি দিয়ে নিয়মিত বালুবাহী জাহাজ চলাচল করে। এসব জাহাজের ধাক্কায় শুক্তাগড় ইউনিয়নের তালুকদার হাট সংলগ্ন সেতুর মাঝামাঝি অংশে ফাটল দেখা দেয়। ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর ভোরে একটি গাছবাহী নৌকা ব্রিজের পিলারে ধাক্কা দিলে মাঝের অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে। এরপর এলাকাবাসী বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে যাতায়াত করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা জানান, বারবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিষয়টি অবহিত করা হলেও স্থায়ী সমাধান মেলেনি। দ্রুত সেতু নির্মাণ না হলে এলাকার পণ্য পরিবহন ও মানুষের দুর্ভোগ আরো বাড়বে।
ঝালকাঠির এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম সরকার বলেন, “বিষয়টি দাপ্তরিকভাবে চিহ্নিত আছে। প্রাক্কলন তৈরি করে বরাদ্দ চাওয়া হবে। বরাদ্দ পেলেই টোন্ডার দিয়ে কাজ শুরু করা হবে।