1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
খালের পর রাস্তাও দখল আ.লীগ নেতা ফরিদের - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন

খালের পর রাস্তাও দখল আ.লীগ নেতা ফরিদের

  • আপডেট সময় : সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি খালের জমি দখল করে দোকানঘর নির্মাণের পর এবার জনসাধারণের চলাচলের রাস্তায় দেয়াল তুলেছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ। খুলনা নগরীর ক্রাইম জোন ও মাদক ব্যবসার পয়েন্ট দক্ষিণ টুটপাড়া ও মতিয়াখালী খালপাড়ে গড়ে তুলেছেন এসব অবৈধ স্থাপনা।

 

 

এতে ২০টি পরিবারের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। মূল সড়কের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মাদক ব্যবসায়ীরা গলিপথটি নির্বিঘ্নে গাঁজা ও ইয়াবা বিক্রির কাজে ব্যবহার করছে। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ করলেও মিলছে না সমাধান।

 

 

অবরুদ্ধ পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) প্রশাসক বরাবর দেওয়া লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, কিছুদিন আগে জেলা প্রশাসন ও কেসিসি যৌথভাবে এই এলাকায় অবৈধভাবে দখল করা খালের জমি উদ্ধারে অভিযান চালায়। ওই অভিযানে অসংখ্য অবৈধ দখল উচ্ছেদ হলেও আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ আহমেদ খালের জমি নিজ পরিবারের নামে বিআরএস রেকর্ড করিয়ে সেখানে ১৪টি দোকানঘর নির্মাণ করেন। সেগুলো বর্তমানে অক্ষত আছে। এরপর তার লোকজন গত ৪ অক্টোবর জনসাধারণের চলাচলের রাস্তায় প্রাচীর তুলে আটকে দেয়।

 

 

লিখিত পত্রে বলা হয়, ২০০৯ সালে আদালতে দায়ের করা এক মামলার রায়ে নদী ও খালের সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সিএস ম্যাপ অনুসরণ করে জরিপ করতে বলা হয়। ওই আদেশ মানা হলে ফরিদ আহমেদের দখল করা খালের জমি উদ্ধার করা সম্ভব হবে, জনগণের চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত হবে।

 

 

তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ অক্টোবর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার সুমাইয়া সুলতানা এ্যানি স্বাক্ষরিত পত্রে খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও জনগণের চলাচলের রাস্তা অবমুক্ত করার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হয়। এরপর ২৭ অক্টোবর কেসিসির পক্ষ থেকে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে খালটি ১নং খতিয়ানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক খুলনার নামে রেকর্ড বিধায় সীমানা নির্ধারণ ও অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করতে বলা হয় ভুক্তভোগীদের।

 

 

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী আমলে দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ।

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network