1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
বরিশালে মেয়াদ উত্তীর্ণ ব্রয়লার ফিড খাওয়ার পর আড়াই হাজার মুরগীর মৃত্যু! - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন

বরিশালে মেয়াদ উত্তীর্ণ ব্রয়লার ফিড খাওয়ার পর আড়াই হাজার মুরগীর মৃত্যু!

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫

 

স্টাফ রিপোর্টার:: মেয়াদ উত্তীর্ণ ব্রয়লার ফিড (গ্রোয়ার ও স্টার্টার) খাওয়ার পর আড়াই হাজার মুরগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বরিশাল শহরের উত্তর আমানতগঞ্জ এলাকার একটি মুরগী খামারে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তাত্ক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বরিশাল সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ কামরুন্নাহার কলি। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল থেকে মৃত ৫টি মুরগী ও পিসিএফ কোম্পানির ব্রয়লার গ্রোয়ার ও স্টার্টারের নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক তদন্তের জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে কথা হলে, বরিশাল সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ কামরুন্নাহার কলি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আমরা মৃত মুরগী ও পিসিএফ কোম্পানির গ্রোয়ার ও স্টার্টারের নমুনা সংগ্রহ করেছি। ঢাকা থেকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে

ফরেনসিক তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়া যাবে, আশা করছি।

 

এদিকে খামারি মোঃ সহিদ বলেন, বরিশাল নগরীর হাটখোলা এলাকায় পিসিএফ কোম্পানির গ্রোয়ার ও স্টার্টারের ডিলারশীপ রয়েছে। সেখানে পিসিএফ কোম্পানির কর্মচারী ইরানের কাছ থেকে আমি এসব ফিড কিনেছি। মেয়াদ উত্তীর্ণ গ্রোয়ার ও স্টার্টার খাওয়ানোর পর গত বৃহস্পতিবার থেকে কয়েক দফায় আড়াই হাজার মুরগীর মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি কর্মচারী ইরানের মাধ্যমে পিসিএফ কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অপূর্বকে অবগত করা হয়েছে।

 

 

জিএম অপূর্বকে অবগত করার পর দ্রুত তিনি কোম্পানির লোক পাঠিয়ে আমার খামার থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ গ্রোয়ার ও স্টার্টার নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমার খামারে নতুন খাবার পাঠানো হয়। তাতেও কোনো কাজ হয়নি। কারণ বস্তা খুলে দেখি তার মধ্যের গ্রোয়ার ও স্টার্টার অতিরিক্ত মাত্রার ছত্রাক ও দলা যুক্ত। আমি জানি কোম্পানি অনেক মেয়াদ উত্তীর্ণ গ্রোয়ার ও স্টার্টার ফেরত নিয়ে যায় ঠিকই, কিন্তু সেসব ফিড নতুন বস্তাবন্দি করে ট্যাগিং করা হয়।

 

 

যেকারণে কয়েক দফায় আমার খামারে আড়াই হাজার মুরগীর মৃত্যু হয়। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। আমার মুরগীর খামার পিসিএফ কোম্পানির কারণে এখন ধ্বংস হয়ে গেছে।

 

 

আমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ লক্ষ টাকার ঋণ নিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, অনেক কষ্ট করে এই মুরগীর ফার্ম গড়ে তুলেছি। কিন্তু আমি আজ নিঃস্ব। আমি এসবের সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবী করছি।

 

এদিকে পিসিএফ কোম্পানির জিএম অপূর্ব  বরিশাল ক্রাইম ট্রেস ডটকম’কে বলেন, সহিদ ভাই (খামারি) আমার গ্রাহক। ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে সহিদ ভাইয়ের ক্ষতিপূরণ ধীরে ধীরে পুষিয়ে দেওয়া হবে।

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network