
নিজস্ব প্রতিবেদন: মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে নির্ধারিত সরকারি ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও অর্থপাচারের অভিযোগে বায়রাভুক্ত ছয়টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পৃথক ছয়টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুদক প্রধান কার্যালয়ে এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সিন্ডিকেট গঠন করেন এবং বিএমইটি ও বায়রার নিবন্ধন শর্ত লঙ্ঘন করে শ্রমিকদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে কয়েকগুণ বেশি অর্থ আদায় করেন।
দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, এই ছয় প্রতিষ্ঠান মোট ৩১ হাজার ৩৩১ জন শ্রমিকের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি ২২ লাখ ৯৭ হাজার ৬০০ টাকা নিয়েছে। পাসপোর্ট, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, প্রসেসিং ও অন্যান্য খরচের নামে এসব বাড়তি অর্থ গ্রহণ করা হয়।
এছাড়া, অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে যে অবৈধভাবে সংগৃহীত অর্থ বিভিন্ন কৌশলে বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
এসব কর্মকাণ্ড দণ্ডবিধির ১২০(বি), ১৬১, ১৬২, ১৬৩, ১৬৪, ১৬৫(ক), ৪২০, ৪০৯, ১০৯ ধারায় এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা, এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারার আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে প্রমাণিত।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, মেসার্স আমিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস-এর স্বত্বাধিকারী রুহুল আমিন, মেরিট ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী (কিরণ) ও এমডি শাহানা ফেরদৌস, সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান, ইমপেরিয়াল রিসোর্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসাইন ও এমডি মো. বদরুদ্দৌজা চৌধুরী, আরআরসি হিউম্যান রিসোর্স সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান ও এমডি মো. আলমগীর কবীর ও থানেক্স ইন্টারন্যাশনালের সাবেক এমডি আব্দুল্লাহ শাহেদ, পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন নোমানী ও এমডি শমসের আহমেদ।
দুদক আরও জানায়, সাব-এজেন্ট, বিমান টিকিট ও মধ্যস্বত্বভোগীদের খরচ (প্রায় ২ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯০ টাকা) এ হিসাবের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।