
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে লাইজু বেগম (৪০) ও আবুল কালাম (৪৮) নামে দুই ব্যক্তি মারা গেছেন।
শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৮টার আগের ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল।
এ নিয়ে চলতি বছরে বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুতে মোট ৪৪ জনের মৃত্যু হলো।
নিহতদের মধ্যে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ইউসুফ আলীর ছেলে আবুল কালাম (৪৮) এবং পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার নাসিমের স্ত্রী লাইজু বেগম (৪০) রয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ছয় জেলায় নতুন করে আরও ১৫৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী দুটি মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে বরিশাল বিভাগে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৪৯ জন। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে ৪২৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে বরগুনা জেলা। এ জেলায় চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৯৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া বরিশাল জেলায় ১ হাজার ৪৫৪ জন, পটুয়াখালীতে ২ হাজার ১২১ জন, ভোলায় ৩৬৮ জন, পিরোজপুরে ১ হাজার ৩৬৩ জন এবং ঝালকাঠিতে ৬২২ জন রোগী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এর বাইরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ১ হাজার ৯৫৯ জন এবং পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ হাজার ৫০৬ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালে ২৫ জন, বরগুনার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৫ জন, ভোলায় ১ জন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ১ জন এবং পটুয়াখালীর দুটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শেবাচিম হাসপাতালে মারা যাওয়া ২৫ জনের অধিকাংশের বাড়ি বরগুনা জেলায়।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘দেশের অন্যান্য বিভাগের তুলনায় বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার কিছুটা বেশি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে মশাবাহিত এই রোগটি গ্রামাঞ্চলে বেশি ছড়াচ্ছে। তবে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ায় এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার তুলনামূলক কম। ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।