
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল মহানগরীর বেশীরভাগ জনগুরুত্বপূর্ণ ও গন ব্যবহারের ফুটপাথ সহ ওয়াকওয়েগুলো আবার বেদখল হয়ে যাচ্ছে। এমনকি এক শ্রেণীর নব্য ও সক্রিয় চাঁদাবাজদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষও অংশ গ্রহণে নগরীর বেলপার্ক ও নবগ্রাম রোড-চৌমহনী লেকের পাড় সহ সম্প্রতি উচ্ছেদকৃত বিভিন্ন পার্ক ও সন্নিহিত স্থান-গুলেতে অবৈধ দোকানপাট ফিরে আসছে। আর ফুটপাথের বিপুল সংখ্যক দোকান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার চাঁদা উত্তোলন করছে ৫ আগস্টের পট পরিবর্তন পরবর্তী নব্য চাঁদাবাজদের দল।
নগরীর নবগ্রাম রোড-চৌমহনী লেকের পূর্ব পাড়টি থেকে সম্প্রতি সব পথ খাবারের দোকান উচ্ছেদ করে সিটি করপোরশেন। অনুরূপভাবে বেল পার্কের উত্তর পাশের সড়কটি থেকেও অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ কর হলেও নগর প্রশাসকের বাসা ঘেরাও করে দাবী পেশ করেই মাত্র সপ্তাহের ব্যবধানে সব পথ খাবারের দোকানগুলো ফিরে আসে। সেখানের পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, বেল পার্কের উত্তর প্রান্ত দিয়ে এখন আর মাঠে প্রবেশ করার কোন সুযোগ নেই। এমনকি উচ্ছেদ পরবর্তী কথিত পুনর্বাসনের নামে অনেক পুরনো দোকানের সাথে নতুনদের আগমনও বাড়ছে।
নগরীর নবগ্রাম রোড-চৌমুহনীতেও নানা অব্যবস্থা অনিয়মের মধ্যে বিশাল ঐ লেকের পূর্ব পাড়ের সব অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হলেও দক্ষিণ ও পশ্চিম পাড়ে নজর দেয়নি নগর ভবন। অথচ লেকটির পশ্চিম পাড়ে মাত্র সাড়ে ৯শ ফুট রাস্তায় শিশুদের ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখন দক্ষিণ পাড়ের দোকান চাঁদাবাজদের উৎসাহে ক্রমশ ক্রর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আর প্রশাসন অনেকটাই অসহায়ের ভান করছে বলেও সুস্পষ্ট ধারনা জন্মেছে জনমনে।
নগরীর ৩০ গোডাউন সংলগ্ন কির্তখোলা নদী তীরের ‘শতায়ু অংগন’এর সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের এক সপ্তাহ পরেই পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। এলাকার বাস্তবতায় এখন সেখানে হাঁটা দায়। বিবির পুকুরের দক্ষিণ পাড়ের চালচিত্রও আলাদা কিছু নয়।
এ নগরীতে যেখানেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়, সেখানেই দিন ও সপ্তাহের ব্যবধানে তারা আরো সঙ্গী সাথী নিয়ে ফিরে আসছে। ফলে দিন দিন এ নগরীতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বাড়ছে। এ নগরীর বেশীরভাগ মানুষ নানা ধরনের পেটের পীড়ায় ভুগছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চরেল সরকারী হাসপাতালগুলোতেই ডায়রিয়া সহ নানা ধরনের পেটের পীড়া নিয়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। দখল দূষণে এ নগরীতে একটু বুক ভরে শ্বাস নেয়াও কষ্টকর হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের।
বাস্তবতার নিরিখে নগরী জুড়ে পথ খাবারের দোকানের বিষয়ে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান সূত্র বের করারও তাগিদ দিয়েছেন সাধারণ নগরবাসী। একইসাথে চাঁদাবাজ সহ যাদের প্রচ্ছন্ন আশীর্বাদে এসব অবৈধ দোকানপাট বার বার নগরীর স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে ফিরে আসছে, তাদের চিঞ্হিত করে আইনের কাছে সোপর্দেরও দাবী তুলেছেন আমজনতা।