নিজস্ব প্রতিবেদক:: আজ পহেলা বৈশাখ। বাংলা নতুন বর্ষের যাত্রা শুরু। মহামারি করোনাভাইরাসের ক্ষত নিয়ে চৈত্রের রুক্ষতাকে বিদায় দিয়ে এলো বৈশাখ। এ দিনটি বাঙালির মাঝে আসে প্রাণের উৎসব হয়ে। বরিশালে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে নতুন বর্ষকে বরণ করে নেওয়া হয়েছে।
‘কাল ভয়ঙ্করের বেশে ওই আসে সুন্দর’ স্লোগান ধারণ করে মাত্র পাঁচজন শিল্পী ও ১২ শিক্ষার্থী নিয়ে চারুকলা বরিশালের উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আয়োজন করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
সকাল সাড়ে ৯টায় অশ্বিনী কুমার হলের সামনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্পীরা প্রতীকী শোভাযাত্রা করেন। অংশগ্রহণকারীরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ও বর্ষবরণের আলপনা অঙ্কিত বিশেষ ধরনের ফেসশিল্ড পরিহিত ছিলেন। পরে রাখিবন্ধন উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
চারুকলা বরিশালের সাধারণ সম্পাদক রনি দাস বলেন, আমাদের প্রাণের উৎসব মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বর্ষবরণের অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হয়েছে। মূলত করোনা মহামারিতে সকলকেই নিরুৎসাহিত করা হয়েছে যেন ঘরের বাইরে বের না হন।
তিনি আরও বলেন, তবে স্বল্প পরিসরে চারুকলা বরিশালে প্রতীকী শোভাযাত্রা ও বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এখানেও আমরা মানুষকে মাস্ক পড়তে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করেছি।
এর বাইরে শিশুদের অনলাইনে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সাতদিন ধরে এসব অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। বর্ষবরণের সব আয়োজন চারুকলা বরিশাল ফেসবুক পেইজ থেকে লাইভ করা হয় বলে জানান তিনি।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, গত দুবছর ধরেই বিস্তৃত পরিসরে বর্ষবরণ পালন করা সম্ভব হয়নি। এ বছরও পালন করতে পারিনি। তাছাড়া চারুকলা বরিশাল কার্যালয়ে সীমিত পরিসরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করা হয়।