1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
ওয়ার্ড মাস্টার ফেরদৌসের নিয়ন্ত্রণে ট্রলি বাণিজ্য: শেবামেক হাসপাতাল - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন

ওয়ার্ড মাস্টার ফেরদৌসের নিয়ন্ত্রণে ট্রলি বাণিজ্য: শেবামেক হাসপাতাল

  • আপডেট সময় : রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার // জরুরী বিভাগ থেকে শুরু করে হাসপাতালের লিফট চালক,এমনকি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ট্রলি চালকদের সঙ্গে নিয়ে অবৈধ সিন্ডিকেট গড়ে তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওয়ার্ড মাস্টার ফেরদৌসের বিরুদ্ধে।

বয়সের ভারে নুয়ে গেলেও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আয়া বুয়া ও ট্রলি চালকদের ওপর একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রাখছেন ফেরদৌস।

ইতিমধ্যে ফেরদৌস নিয়ন্ত্রিত কর্মচারী নামের দালালদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে ছাত্রজনতা। ছাত্রজনতার ব্যানারে মহিউদ্দিন রনি ও তার অনুসারীরা আজও (রবিবার) শেবামেক হাসপাতালের প্রধান ফটক বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলন করেছেন। এসময়ে মহিউদ্দিন রনি শ্লোগান দিয়ে বলেন, ‘মেডিকেলের দালালেরা হুশিয়ার সাবধান’।

এদিকে জানা গেছে, শেবামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগ ও ওয়ার্ডের ট্রলি বাণিজ্য, লিফট বাণিজ্য,পথ্য বিভাগের খাবার চুরি বাণিজ্য, টাকার বিনিময়ে ভাত বিক্রির সকল সিন্ডিকেট পরিচালনা করছেন ফেরদৌস।

ফেরদৌস এসব অবৈধ ট্রলি বাণিজ্যের টাকা উত্তোলন করেন ওয়ার্ড বয় বেল্লালের মাধ্যমে। সম্পর্কে বেল্লাল ওয়ার্ড মাস্টার ফেরদৌসের ভাগিনা। বেল্লালের এই কাজে সহায়তা করছেন জরুরী বিভাগের অতিরিক্ত কর্মচারী আলী ও বহিরাগত নুরুন্নাহার, পলাশ মল্লিক, লিফট চালক মাহবুব এবং গাইনী অপারেশন থিয়েটারের আয়া খুকু।

এদের মধ্যে বেল্লাল ও অতিরিক্ত কর্মচারী আলী বর্তমানে জরুরী বিভাগে কর্মরত।

তবে ভয়ংকর কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকেন বহিরাগত নুরুন্নাহার। নুরুন্নাহার শেবামেক হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন ও ডাঃ সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন।

জানা গেছে, সাবেক পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেনের সময় হাসপাতালের প্রধান ফটকে অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে সিগারেট বিক্রি করতেন নুরুন্নাহার। এতে বাধা দিতে গেলে নুরুন্নাহার তৎকালীন পরিচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। নুরুন্নাহার একই মিথ্যা কৌশল অবলম্বন করেছিলেন হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডাঃ সাইফুল ইসলামের ক্ষেত্রেও। তাছাড়া নুরুন্নাহার হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট অপরাধে সম্পৃক্ত থাকার কারণে একাধিকবার থানা হেফাজতেও ছিলেন।

অন্যদিকে পলাশ মল্লিক অর্থোপেডিক্স ওটি থেকে রোগিদের কাছ থেকে ও গাইনী অপারেশন থিয়েটারের আয়া খুকু ১০০০ টাকা করে হাতিয়ে নিয়ে ফেরদৌসের বাণিজ্য থলিতে দিয়ে আসেন।

এদিকে লিফট চালক মাহবুব ট্রলিতে রোগী দেখলেই লিফট চালানোর খরচ বাবদ টাকা দাবি করেন।

তাছাড়া অভিযোগ রয়েছে ওয়ার্ড মাস্টার ফেরদৌস সম্প্রতি হাসপাতালের পথ্য বিভাগে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ১৬ জন কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। যা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ প্রক্রিয়া ছিলো। ১৬ জন কর্মচারীর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকাও হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।

তবে হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার ফেরদৌস বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত এসব অভিযোগ মিথ্যা। আমি শুধু পথ্য বিভাগের দায়িত্বে রয়েছি। তাছাড়া বেল্লাল নামে কোনো কর্মচারী আমার ভাগিনাও নয়।

এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজন ও অসহায় কর্মচারীরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য দাবী জানিয়েছেন।

এদিকে শেবামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ মোহাম্মদ মাহমুদ হাসান বলেন,অভিযোগের বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখবো। তাছাড়া পরিচালক স্যারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে ভালো হবে।

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network