1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
কলাপাড়ায় ৩৮ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে! - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৯ অপরাহ্ন

কলাপাড়ায় ৩৮ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে!

  • আপডেট সময় : সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার:: পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলায় ভুক্তভোগী পরিবারের ৩৮ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক যুবদল নেতার পরিবারের বিরুদ্ধে। ৩৮ লক্ষ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট ২য় আমলী

আদালতে ইতিমধ্যে মামলাও দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য আব্দুল সত্তার ব্যাপারী অভিযোগ করে বলেন, যুবদলের নেতার পরিবারের সদস্য মোঃ ওবায়দুল ইসলাম ওরফে শান্তি সাউগার,তার ছেলে ইব্রাহিম সাউগার কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি,আরেক ছেলে জাহিদ সাউগার নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের নেতা, ছোট ছেলে উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক চাঁদাবাজির অভিযোগ।

স্থানীয় সাউগার পরিবার প্রথমে আমাদের পূর্ব পুরুষের জমিতে ভূয়া ওয়ারিশ দেখিয়ে পায়রাবন্দর কতৃপক্ষকে বোকা বানিয়ে ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা চালায়। বিষয়টি টের পাওয়ার পর আমরা সঠিক কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে ইব্রাহিম সাউগারের পরিবারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের কাছে।

অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে জেলা প্রশাসক দ্রুত এলএ শাখার কর্মকর্তাদের কতৃক প্রতারক ইব্রাহিম সাউগারের পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন। এলএ শাখা কতৃপক্ষ তখন ইব্রাহিম সাউগারের পরিবারকে এমন প্রতারণার আশ্রয় থেকে সরে যেতে বলেন।

মামলার বাদী ও বাউফল উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল সত্তার আরও বলেন,ইব্রাহিম সাউগারের দ্যোচুচরা রাজনৈতিক পরিবার এবার বেকায়দায় পড়েছেন, তারা এমনটা বুঝতে পেরে আমাকে খুঁজে বের করেন। পাশাপাশি প্রতারণার কৌশলও খুঁজে বের করেন সাউগার পরিবার।

একপর্যায়ে আদালতে দায়েরকৃত মামলা ও জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য আমাকে অনুরোধ করেন প্রতারক সাউগার পরিবার। বিনিময়ে আমার জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪০ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় তারা।

এরপর,ঝামেলা এড়ানোর জন্য আমি সমাধানের পথ অবলম্বন করতে বাধ্য হই। প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির মূল ভবনের ২য় তলায় জনৈক এ্যাডভোকেটের চেম্বারে একাধিক সাক্ষীর উপস্থিতিতে সোলেনামা করি, আমি।

সোলেনামা অনুযায়ী আমার জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪০ লক্ষ টাকার আপোষ হয়। এসময় ২ লক্ষ টাকা আমাকে নগদ প্রদান করে সাউগার পরিবার। পাশাপাশি বাকী ৩৮ লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করেন প্রতারক ওই পরিবার। প্রদত্ত চেকটির নম্বর ছিলো ৩৭৬২৫০২। যার ক্ষেপুপাড়া উত্তরা ব্যাংক শাখার সঞ্চায়ী হিসাব নম্বর ১২৩০৩১।

এরপর শালিসি মোতাবেক জমির ক্ষতিপূরণের বাকি ৩৮ লক্ষ টাকা সময় মত না দিয়ে টালবাহানা শুরু করে সাউগার পরিবার। ২০২৪ সালের ৯ জুন পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির মূল ভবনের ২য় তলায় ওই এ্যাডভোকেটের চেম্বারে ফের শালিসিতে বসেন তারা। পরে টাকা পরিশোধ করার জন্য মৌখিকভাবে ওয়াদা করে চলে যায়।

কিন্তু ২০২৫ সালের ১৬ মার্চ শালিসিতে বসে পূর্বের চেকে প্রদত্ত ৩৮ লক্ষ টাকা দিতে সাফ অস্বীকার করেন প্রতারক সাউগার পরিবার। এসব প্রতারণার নাটেরগুরু ছিলেন শান্তি সাউগারের ছেলে যুবদলের নেতা ইব্রাহিম সাউগার।

২০২৫ সালের ৬ এপ্রিল যুবদলের নেতার পরিবারের প্রতারণার শিকার হয়ে পটুয়াখালী আদালতে আমরা আরেকটি মামলা দায়ের করি। এই মামলার বাদিনী আমার পুত্রবধূ সালেহা হোসেন। কারণ আমার ব্যাংক হিসাব নম্বর ছিলো না। যেকারণে ওবায়দুল ইসলাম ওরফে শান্তি সাউগার সালেহার ব্যাংক হিসেবে জমির ক্ষতিপূরণের ৩৮ লক্ষ টাকা দেওয়ার ওয়াদা করেছিলো।

আদালতে দায়ের করা ৩৮ লক্ষ টাকার চেক জালিয়াতি মামলার বিষয়ে কথা হলে পটুয়াখালী সদর নৌ-ফাঁড়ী পুলিশের ইনচার্জ দিলীপ কুমার বলেন, ওবায়দুল ইসলাম ওরফে শান্তি সাউগার পরিবারের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি মামলার তদন্ত চলছে। বাদী ও বিবাদীদের উভয়কেই নোটিশ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে খুব শীঘ্রই আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

এদিকে চেক জালিয়াতি মামলার আসামি ওবায়দুল ইসলাম ওরফে শান্তি সাউগার বলেন,যে জমি নিয়ে প্রথমে আব্দুল সত্তার আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার প্রকৃত মালিক আমরা কেউ না। প্রকৃত মালিকের ৯৮ বছর যাবৎ কোনো খোঁজ নেই। তারপর থেকে খরিদ ও রেকর্ড সূত্রে আমরা মালিক।

৯৮ বছর যাবৎ প্রকৃত জমির মালিকের কোনো খোঁজ নেই,আপনি কিভাবে জমির মালিক হলেন? এমন প্রশ্নে চুপসে যান শান্তি সাউগার। অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি মামলার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।

এদিকে শান্তি সাউগারের ছেলে ও লালুয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ইব্রাহিম সাউগার বলেন,আমার বাবা যা বলেছেন তা সঠিক নয়। আপনাদের (সংবাদকর্মী) সঙ্গে আমি কাগজপত্র নিয়ে পটুয়াখালী আইনজীবী সমিতি ভবনে সমঝোতা করার জন্য বসতে চাই।

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network