
মোঃ সাদ্দাম হোসেন //বরিশাল নগরীর ২০ নং ওয়ার্ডের নিবেদিতপ্রাণ রাজনৈতিক কর্মী মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছিলেন সম্মুখসারির একজন সাহসী যোদ্ধা। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের উত্তাল দিনে তিনি রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং জনতার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অংশ নিয়েছেন প্রতিটি কর্মসূচিতে।
২০২৪ সালের সেই উত্তাল জুলাই আন্দোলনের সময় পুলিশের নৃশংস হামলায় তিনি গুরুতরভাবে আহত হন। তবু আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে না গিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যান। তার এই আত্মত্যাগ ও সাহসিকতা আজও অনেকের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক কর্মী নন—তিনি গণতন্ত্রের জন্য নিবেদিত একজন সত্যিকারের “জুলাই যোদ্ধা”।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক বাস্তবতা হলো—এই যোদ্ধা আজও কোনো সরকার বা প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো ধরনের স্বীকৃতি বা সম্মাননা পাননি। শুধু রাষ্ট্রীয়ভাবেই নয়, বরং দলীয়ভাবেও তার অবদানকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। একজন পরীক্ষিত, ত্যাগী ও সাহসী কর্মী হয়েও তিনি রয়ে গেছেন অবহেলার চাদরে ঢাকা।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, এই ধরনের অবহেলা শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির প্রতি অন্যায় নয়—এটি একটি আদর্শ, একটি সংগ্রামের প্রতি অবিচার। মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিকের মতো যোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান ও স্বীকৃতি প্রদান করা হলে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে চেতনা ও প্রেরণার বার্তা বহন করবে। তাই এখনই সময়—এই বীর যোদ্ধার আত্মত্যাগ ও অবদানকে মূল্যায়ন করার। দল, সমাজ ও রাষ্ট্রের উচিত তাকে প্রাপ্য মর্যাদা ও সম্মাননা প্রদান করে সত্যিকারের ইতিহাসকে সম্মান জানানো।