
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: একের পর এক বিতর্কিত কর্মকান্ডের পরেও রেহাই পেয়ে যাচ্ছে পদধারী নেতারা। বরিশাল জেলা এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের একের পর এক বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে সাধারণ জনগণ এবং তৃণমূলের নেতা কর্মীদের মাঝে চলে এসেছে ক্ষোভ।
সর্বশেষ বরিশালে চাঞ্চল্যকর সাবেক মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক লিটু হত্যা মামলার প্রধান আসামী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মিল্টন চলতি বছরের গত ৬ আগস্ট পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরেও কেন্দ্র এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মিল্টন বরিশাল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক (সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত) মশিউর রহমান মঞ্জুর আস্থাভাজন।
অন্যদিকে মশিউর রহমান মঞ্জু বরিশালে চাঞ্চল্যকর বালি মহাল কান্ডের কারণে কেন্দ্রীয় বিএনপি থেকে ৬ মাসের দলীয় পদ স্থগিত আদেশ পেয়েছেন। এছাড়াও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক নিজামুর উক্ত বালি মহাল কান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এবং বালু মহলের ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য ক্ষমতাবলের কারনে তার কোন শাস্তি হয়নি এখন পর্যন্ত। এতে সাধারণ জনগণ এবং তৃণমূল নেতা কর্মীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতাকর্মীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি এবং অন্যান্য অঙ্গসংগঠন যেখানে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। সেখানে পরপর দুই দিন দুটি কর্মকান্ডের কারণে মিল্টন এবং সাজ্জাদের বিরুদ্ধে এখনও কোন দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত কেন পিছিয়ে রয়েছে।
তারা কি কোন নেতার অদৃশ্য হাত রয়েছে। তাদের কারনে অপরাধ করেও বেচে যাচ্ছে? উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানের বাড়ি বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায়। তার নিজ জেলার নেতা কর্মীদের একের পর এক বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে তার নিজেরও ইমেজ নষ্ট হচ্ছে বলেও মনে করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
বরিশাল জেলা এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পদে থাকা কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একের পর এক বিতর্কিত কর্মকান্ডের উল্লেখিত ঘটনা গুলো নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক আবদুল আল মামুন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বরিশালে সেচ্ছাসেবক দলের যে সব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
তা তদন্ত কমিটির তদন্ত রির্পোট অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। । তদন্ত অনুযায়ী দলীয় ভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক ইতিমধ্যে তারা বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছেন।
তবে সেচ্ছাসেবক দলে কোন বির্তকিত লোকের জায়গা হবে না। অপরাধমূল কর্মকান্ডের সাথে সেচ্ছাসেবক দলের নেতা জড়িত রয়েছে এমন কোন অভিযোগ আমাদের কাছে আসে তাহলে দ্রæত আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
বরিশালের দুই তিনটি ঘটনা নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে, তদন্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপ জানানো হবে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী এবং সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানের মুঠো ফোনে এবং হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি। তাই তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।