1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ, ক্ষেপে দুই সাংবাদিকের নামে মামলা ওসির - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০০ পূর্বাহ্ন

ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ, ক্ষেপে দুই সাংবাদিকের নামে মামলা ওসির

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের অফিসার ইনচার্জের (ওসি) ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক যুগান্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টাফ রিপোর্টার ও আখাউড়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বি এবং আরটিভির আখাউড়া উপজেলা প্রতিনিধি ও আখাউড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে চাঁদাবাজি ও মানহানির অভিযোগে আখাউড়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার। এর আগে, গত ৪ আগস্ট আরটিভি অনলাইন এবং ৭ আগস্ট দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ওসির নেতৃত্বে ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়মের বিস্তারিত তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম ও কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেনের ঘুষ গ্রহণ, যাত্রী হয়রানি এবং অবৈধ পারাপারের নানা অভিযোগ তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মেডিকেল ভিসায় ভারতে যাওয়া যাত্রীদের কাছ থেকে ৫ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হচ্ছে। টাকা না দিলে নানা অজুহাতে সীমান্ত পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়। গোপন সূত্র ও যাত্রীদের অভিযোগে উঠে আসে, প্রতিদিন গড়ে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা ঘুষ আদায় করছে একটি প্রভাবশালী চক্র।

একাধিক ঘটনায় যাত্রীদের অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান, পাসপোর্টে ভুয়া সীল মারা এবং চোরাচালান চক্রকে সুবিধা দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়। এসব কর্মকাণ্ডে ওসি আব্দুস সাত্তার, এসআই আব্দুর রহিম ও কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেনের যোগসাজশের প্রমাণ পাওয়া যায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিক মো. ফজলে রাব্বি বলেন, আমরা পেশাগত দায়িত্ব থেকে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করেছি। এ মামলা হয়রানিমূলক এবং সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা। অবিলম্বে এই হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

আরটিভির সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেন বলেন, সাংবাদিকের কাজ সত্য প্রকাশ করা, ভয় বা চাপের কাছে নতি স্বীকার করা নয়। মিথ্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিকের কণ্ঠ রোধ করা যাবে না। ইমিগ্রেশন ওসির বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত হলে দুর্নীতির চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠবে। অথচ আখাউড়া থানার ওসি ছমিউদ্দিন তদন্ত ছাড়াই মামলাটি রুজু করে প্রমাণ করেছেন তিনি নিরপেক্ষ নন। এটি সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি আঘাত।

আখাউড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন লিটন বলেন, সত্য সংবাদ প্রকাশ করাই সাংবাদিকদের হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

আখাউড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রুবেল আহমেদ বলেন, এটি সরাসরি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর আঘাত। আমি বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি সাংবাদিকরা যাতে নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারেন সে পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

আখাউড়া সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি নাসির উদ্দিন বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতি প্রকাশ করলেই যদি মামলা হয়, তাহলে সত্য প্রকাশ বাধাগ্রস্ত হবে। আমরা সাংবাদিকদের পাশে আছি এবং অবিলম্বে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় সাংবাদিকরা বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন জনান, মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। চাঁদাবাজির পাশাপাশি অভিযুক্ত দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্য সংবাদ প্রকাশ করে মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে।

 

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network