
বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি // বরিশালের বাবুগঞ্জে ঝগড়া থামানোর অপরাধে শাশুড়ি ও চাচি শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা অভিযোগ পাওয়া গেছে পুত্র বধুর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা দেহেরগতি ইউনিয়নের পশ্চিম রাকুদিয়া ৫ নং ওয়ার্ডের মৃত্যু মালেক মিয়ার বাড়িতে।
আতরা হলেন কোহিনুর বেগম (৬০), সেলিনা বেগম (৫৮)। আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত কোহিনুর বেগমের ছোট ছেলে সজল মিয়া বাদী হয়ে বড় ভাবি নাসরিনকে আসামি করে গতকাল বাবুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় ও বাবুগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার মামলার বাদী সজল মিয়ার বড় ভাবি নাসরিন আক্তার (২৬) সাথে একই বাড়ির চাচাতো ভাবি শারমিন আক্তারের (৩০) সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটি এক পর্যায় দুজনের মধ্যে ঝগড়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় শাশুড়ি কোহিনুর বেগম দুই পক্ষের ঝগড়া থামিয়ে দেন এবং তার পুত্রবধূ নাসরিনকে হাত ধরে ঘরে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় পুত্রবধূ নাসরিন আক্তার শাশুড়ি উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর বিকাল সাড়ে ৪টার সময় শাশুড়ি কোহিনুর বেগম ভাত খেতে বসে এ সময় পুত্রবধু নাসরিন আক্তার তার গায়ের ঝাল মেটাতে শাশুড়িকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়া তার মাথার উপরসহ বিভিন্ন জায়গায় এলোপাথারি কোপাতে থাকে। কোহিনুর বেগম ডাক চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটে পরে। এ সময় পাশের ঘরের কোহিনুরের দেবরের স্ত্রী সেলিনা বেগম কোহিনুরকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে যখম করে। এ ঘটনায় পর ওই পাষন্ড গৃহবধূর তান্ডবে ঘরের ফ্রিজ সহ বিভিন্ন মালামাল ভাঙচুর এবং আলমিরা থাকা নগদ ৯০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে পিত্রালয় পালিয়ে যায়। ওই পুত্রবধূ পার্শ্ববর্তী উজিরপুর উপজেলার বড় কোঠা গ্রামের মৃত নূরে আলম মোল্লার মেয়ে।
এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহরুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা ও মালামাল লুটের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে আসামিকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে।