শনিবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃক ‘করোনা মহামারীতে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে হকার, শ্রমিক ও বেকার সাংবাদিকদের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি ২০২১’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রশাসনকে ব্যবহার করে কর্মহীন ও অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পাঠিয়ে দেয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি অণুজীববিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীলকে দেশে ফিরিয়ে এনে টিকা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
করোনা মহামারীতে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ২০২০ সালের ন্যায় পুনরায় অসহায়, দরিদ্র, কর্মহীন মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি শুরু করেছে। প্রথম পর্যায়ে ঢাকা, গাজীপুর, আশুলিয়া এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ৬০০ পরিবারের জন্য এই খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। বিতরণের তালিকায় রয়েছেন হকার, শ্রমিক, অসহায় মানুষ এবং কর্মহীন সাংবাদিক।
প্রাথমিকভাবে একটি পরিবারের ১ মাস চলার মতো খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রতিটি খাদ্য প্যাকে রয়েছে ২০ কেজি চাল, ৪ কেজি আটা, ৫ কেজি আলু, ১ কেজি মশুর ডাল, ১ কেজি ছোলা, ১ কেজি পিঁয়াজ, ১ কেজি চিনি, আধা কেজি লবণ, আধা লিটার সয়াবিন তেল, ৮০ গ্রাম সরিষার তেল এবং ৩০ গ্রাম শুকনা মরিচ।
এসময় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মনজুর কাদির আহমেদ ঈদের আগে এক হাজার দরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণের আশাবাদ ব্যক্ত করে অসহায় মানুষের সাহায্যে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচির পরিচালনায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।