
পটুয়াখালী প্রতিনিধি// পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বাসায় টাকার বান্ডিল পাঠানো একই ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. রুহুল আমিন সিকদারের আইনজীবী সনদ স্থগিত করেছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বার কাউন্সিলের বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিচারককে ঘুষ সাধার অভিযোগে পিপির বিষয়ে গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বার কাউন্সিলের সচিব ও জেলা আইনজীবী সমিতির (জেলা বার) কাছে চিঠি দেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) নীলুফার শিরিন।
অভিযোগে বলা হয়, গত বুধবার সকালে রুহুল আমিনের একজন লোক বিচারকের বাসার গৃহকর্মীর কাছে একটি ব্যাগ দিয়ে যান। ব্যাগটি খুলে বিচারক দেখতে পান একটি খামে মামলার নথিপত্র ও আরেকটি খামে ৫০০ টাকা নোটের বান্ডিল যাতে আনুমানিক ৫০ টাকার মত হবে। বিচারক বলেন, সংশ্লিষ্ট মামলাটির বিষয়ে পিপি রুহুল আমিন এর দুই দিন আগে তাকে হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠান। এর আগেও তিনি বিচারকের কাছে বিভিন্ন সময় আসামিপক্ষে তদবির করেন বলে অভিযোগ করেন বিচারক।
শনিবার বার কাউন্সিলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে বিচারককে ঘুষ প্রদানের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বার কাউন্সিল কর্তৃক তার সনদ স্থগিত হয়।
এছাড়া দুই গৃহপরিচারিকাকে অমানবিক অত্যাচার করায় বার কাউন্সিলের তালিকাভূক্ত আইনজীবী ওমর শোয়েবের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তদন্তের জন্য বার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বিচারককে ঘুষ সাধার অভিযোগে ইতোমধ্যে পটুয়াখালী জেলা বার অ্যাডভোকেট রুহুল আমিনের সদস্যপদ স্থগিত করে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। এছাড়া একই অভিযোগে জেলা বারের জামায়াত ইউনিটের সদস্য রুহুল আমিনের সদস্যপদ স্থগিত করেছে জেলা জামায়াত।