
এস এম আলমগীর হোসেন, কলাপাড়াঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিশ্বব্যাপী পালিত আন্তর্জাতিক ‘নীলাকাশের জন্য নির্মল বায়ু দিবস-২০২৫’ নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাব চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আন্দারমানিক নদীর তীরে হেলিপ্যাড মাঠে গিয়ে শেষ হয়। র্যালি শেষে পরিবেশকর্মী মেজবাহউদ্দিন মাননু’র সভাপতিত্বে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজনটি বাস্তবায়ন করে প্রান্তজন ও কলাপাড়া পরিবেশ ও জনসুরক্ষা মঞ্চ, সহযোগিতা করে একশনএইড বাংলাদেশ এবং জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (জেটনেট বিডি)। পথসভায় বক্তব্য দেন-কলাপাড়া পরিবেশ ও জনসুরক্ষা মঞ্চের সদস্য মিলন কর্মকার রাজু, কবির তালুকদার, মো. নজরুল ইসলাম এবং প্রান্তজনের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর সাইফুল্লাহ মাহমুদ।
বক্তারা বলেন, বায়ুদূষণ এখন বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। প্রতিবছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষ দূষিত বাতাসে অকাল মৃত্যুবরণ করে। এর ক্ষতিকর প্রভাব শুধু মানবদেহে নয়, জীববৈচিত্র্য ও উদ্ভিদেও মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলে। একইসাথে জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম দায়ী উপাদান হচ্ছে বায়ুদূষণ।
সাইফুল্লাহ মাহমুদ বলেন, বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ অনিরাপদ বায়ুতে বসবাস করছে। দক্ষিণ এশিয়ার শহরগুলো বায়ুদূষণে সবচেয়ে এগিয়ে, যার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ বিশ্বের শীর্ষ ২০ দূষিত শহরের তালিকায় রয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুত ‘ক্লিন এয়ার অ্যাক্ট’ বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, বায়ুদূষণ কোনো দেশের সীমানা মানে না; এর প্রভাব নারী, শিশু ও প্রবীণদের ওপর বেশি পড়ে। বায়ুর গুণগত মানোন্নয়ন জলবায়ু সংকট প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
পথসভায় উত্থাপিত দাবি সমূহ, ন্যায্য জ্বালানির অঙ্গীকার, নির্মল বায়ু সবার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, কলাপাড়ায় আশুগঞ্জ কোম্পানির জন্য অধিগ্রহণকৃত জমিতে জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, পায়রা ৫০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র দ্রুত বাস্তবায়ন, পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র (২য় ফেইজ) বাতিল, ‘ক্লিন এয়ার অ্যাক্ট’ দ্রুত আইন আকারে বাস্তবায়ন।
অনুষ্ঠানে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী, এনজিও কর্মী, নারী সংগঠনের সদস্য, কৃষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। তারা হাতে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে নির্মল বায়ুর দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।