নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেনের পুত্র লুৎফুর রহমান সুফিয়ানকে মারধর করে সন্ত্রাসীরা ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বুধবার পটুয়াখালী থানায় মামলা হলে পুলিশ রাত ১১টার দিকে দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, সাংবাদিক সোহরাব হোসেনের পুত্র লুৎফুর রহমান সুফিয়ান পটুয়াখালী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। সোহরাব হোসেন তার গ্রামের বাড়ি আউলিয়াপুর মোল্লা স্ট্যান্ডে বসতঘর উত্তোলন করছেন। এ কাজে নগদ টাকার প্রয়োজন হলে একই এলাকায় তার নিকটাত্মীয় ফারুকুল বারির স্ত্রী কুলসুম বেগমের কাছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ধার চাইলে তিনি ওই টাকা দিতে সম্মত হন এবং লুৎফর রহমান সুফিয়ানকে টাকা আনার জন্য পাঠাতে বলেন।
লুৎফর রহমান সুফিয়ান মঙ্গলবার আসর নামাজ বাদে পটুয়াখালীর সংশপ্তক লেনের বাসা থেকে মোটরসাইকেলযোগে কুলসুম বেগমের পৈতৃক বাড়িতে গিয়ে ইফতার শেষে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে পটুয়াখালীর আমার বাসার উদ্দেশে রওনা দেয়। কুলসুম বেগমের ঘর থেকে বের হলে একই এলাকার সন্ত্রাসী মেহেদী হাসান সোহাগ, সোহেল মৃধা, বেল্লাল মৃধা, হেলাল মৃধার নেতৃত্বে ৭-৮ জন সুফিয়ানের ওপর হামলা চালায়। তাকে বেদম মারধর করে তার সঙ্গে থাকা ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। সুফিয়ানের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় সুফিয়ানকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে পটুয়াখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামি বেল্লাল মৃধা ও হেলাল মৃধাকে মোল্লা স্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী থানার ওসি আখতার মোর্শেদ জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। সুষ্ঠু তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।