1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
মিত্রদের পর্যাপ্ত আসন ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫২ পূর্বাহ্ন

মিত্রদের পর্যাপ্ত আসন ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির

  • আপডেট সময় : বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

অনলাইন ডেস্ক// বিগত দিনে যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র শরিকদের পর্যাপ্ত আসন ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। আসন বণ্টন বা সমঝোতার জন্য ইতিমধ্যে তাদের কাছে তালিকা চাওয়া হয়েছে। তবে বিএনপি বলয়ের বাইরে অন্য কোনো জোটে গেলে তাদের আসন ছাড় দেবে না দলটি। একই সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা মিত্রদের নিয়ে নির্বাচনি জোট গঠনের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক আলোচনাও শুরু করতে চায় বিএনপি। গত সোমবার রাতে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে এ তথ্য।

 

সূত্র জানায়, শিগগিরই মিত্রদের সঙ্গে আসন ছাড় ও জোট গঠনের ব্যাপারে আলোচনায় বসবে বিএনপি। মিত্ররা কোন আসনে কারা জয়ী হতে আসতে পারবে, তাদের যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কারা সেটাও বিবেচনায় রাখছে দলটি। পাশাপাশি ওইসব আসনে দলীয় যেসব প্রার্থী রয়েছেন তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মিত্রদের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানানো হবে। মিত্রদের মধ্যে যাদের নির্বাচনে মনোনয়ন দিতে পারবেন না তাদের অন্যভাবে মূল্যায়ন করার প্রতিশ্রুতি দেবে বিএনপি। আবার কেউ কেউ বয়সের কারণে সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিতে চাইছেন না তাদের সংসদের উচ্চকক্ষে বা টেকক্রেট সংসদে নেওয়া হবে।

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, হ্যাঁ, আমরা বৈঠকে প্রাথমিক আলোচনা করেছি। আরেক দফা আলোচনা করে তা একটি কাঠামোতে নিয়ে আসা হবে। শরিকদের বিষয়ে দল অত্যন্ত পজিটিভ। যারা যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত ছিল তাদের অবশ্যই যথার্থ মূল্যায়ন করা হবে।

 

শরিকরা কতগুলো আসন চাচ্ছে জবাবে তিনি বলেন, শরিকদের অনেক দাবি। তারা তো অনেক আসন চাচ্ছে। কিন্তু আমরা মাঠের সব জরিপ করে সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের দায়িত্বশীল নেতারা মাঠপর্যায়ে স্টাডি করছে; কাদের দিলে বিজয়ী হওয়া সম্ভব। বিএনপির প্রার্থী তালিকা তৈরি কতদূর? জবাবে দলের এই নীতিনির্ধারক বলেন, এমনিতেই তো ১০০-১৫০ আসনে ঠিক আছে। অর্থাৎ এসব আসনে একজন প্রার্থী আছে। যেগুলোতে একাধিক পদপ্রার্থী সেখানে কাজ চলছে।

 

আওয়ামী লীগের মবের বিষয়ে বিএনপি উদ্বিগ্ন উল্লেখ করে স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নিউইয়র্কে দলের মহাসচিবের সঙ্গে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় তারা বিব্রত। সরকার ও দূতাবাসের গাফিলতি স্পষ্ট। বিএনপির মহাসচিবকে হেনস্থা পুরো দলের ভাবমূর্তির ওপর আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

 

সমসাময়িক ইস্যুতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক পত্রিকা ‘এই সময়’ এ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উল্লেখ করে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকার নিয়ে দেশের রাজনীতিতে আলোড়ন ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, রাজনীতির অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে ভারতের গণমাধ্যমকে বিএনপি মহাসচিবের সাক্ষাৎকার দেওয়া ঠিক হয়নি।

 

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আসন ছাড়লেই হবে না; এখানে অনেক বাস্তবতা রয়েছে। প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা, মাঠের পরিস্থিতি, প্রতিপক্ষ প্রার্থী, বিএনপির তৃণমূলের সঙ্গে শরিক দলের প্রার্থীর সম্পর্ক, এসব দেখতে হবে। নির্বাচনে জয়ী হলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সম্পৃক্ত সব দলকে নিয়ে ‘জাতীয় সরকার’ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিএনপি। এটি কোন উপায়ে বাস্তবায়ন করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শরিক সব দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে সরকারে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, বৈঠকে কেউ কেউ বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী মুখে বলছে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতি ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। অথচ ৩০০ আসনে ইতিমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছে জামায়াত। আগে-ভাগেও নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। জামায়াত কট্টর ডানপন্থি দল ও তাদের রেজিম ফোর্স রয়েছে। তার বিপরীতে বিএনপির এই উদার গণতান্ত্রিক দল। প্রতিটি আসনে জামায়াতের আগেই একক প্রার্থী চূড়ান্ত করলেও কোনো সমস্যা নেই। কারণ তাদের জনপ্রিয় প্রার্থী নেই বললেই চলে। কিন্তু বিএনপির প্রতিটি আসনের তিন-চারজন করে মনোনয়নপ্রত্যাশী ও এলাকায় জনপ্রিয়। তাই সব আসনে তফসিলের আগেই প্রার্থী ঘোষণা দেওয়া সম্ভব নয়। এতে অনেক আসনে বিভেদ-দ্বন্দ্ব গ্রুপিং বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন কেউ কেউ।

 

বৈঠক সূত্র জানায়, বিএনপির দেড় শতাধিক প্রার্থীকে নির্বাচনি আসনে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এটিই চূড়ান্ত মনোনয়ন নয়। কারণ বিএনপি মনোনয়ন চূড়ান্ত করার জন্য পার্লামেন্টারি বোর্ড গঠন করা হবে। সেই বোর্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। জরিপে উঠে আসা সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যাপারে আরও বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়ার পরামর্শ দেন কেউ কেউ। তবে বিএনপি তফসিলের আগেই দল ও জোটের একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে চায়।

 

বিএনপির গঠনতন্ত্রের ১৪ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কিংবা অন্য যেকোনো নির্বাচনের জন্য দলের প্রার্থী মনোনয়নে একটি পার্লামেন্টারি বোর্ড থাকবে। জাতীয় স্থায়ী কমিটিই হবে দলের পার্লামেন্টারি বোর্ড। দলের চেয়ারম্যান হবেন পার্লামেন্টারি বোর্ডের সভাপতি।

 

সূত্র আরও জানায়, বৈঠকে আসন্ন দুর্গাপূজার নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়। পূজামণ্ডপে শান্তি বজায় রাখা, যেকোনো নাশকতা ও ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে নেতাকর্মীদের গত বছরের মতো এবারও পাহারা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network