
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি// ভোলার চরফ্যাশনে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট পারভেজ হোসেনকে হত্যা চেষ্টা করেছে একদল সন্ত্রাসীরা।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টার দিকে শশীভূষণ বেগম রহিমা ইসলাম ডিগ্রি কলেজে এই ঘটনা ঘটে।
সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে মিটিংয়ে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মারধর করেন। এতে তিনিসহ কামরুজ্জামান শাহীন, আবুল হোসেন ও মোহাম্মদ আলী খোন্দকার কমপক্ষে ৮–১০ জন আহত হয়েছেন।
সন্ধ্যায় চরফ্যাশন একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিক সম্মেলনে এডভোকেট পারভেজ এসব অভিযোগ করেন।
তিনি লিখিত অভিযোগে জানান, ৫ আগস্টের পর আমি চরফ্যাশন আলীয়া মাদ্রাসা, জনতা বাজার জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ এবং বেগম রহিমা ইসলাম কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হই। বেগম রহিমা ইসলাম কলেজের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর কলেজের সার্বিক মানোন্নয়নের জন্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে কাজ চলাকালীন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চলমান কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি ঘোষণা করে। বিষয়টি আমি হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করি। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ওই কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে।
এডভোকেট পারভেজ জানান, আমার নেতৃত্বাধীন কমিটি পুনরায় কাজ শুরু করলে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার জজ আদালতে মামলা হয়। চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের স্থগিত আদেশ বাতিল না করায় ২৮ সেপ্টেম্বর বেগম রহিমা ইসলাম কলেজে পূর্বনির্ধারিত গভর্নিং বডির নিয়মিত বৈঠকের শেষ মুহূর্তে কয়েকজন যুবক রোমান, রুহুল মোল্লা, কামাল, ফরিদ, সাজ্জাদ ও সুমন—মিটিংয়ে প্রবেশ করে। তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হামলা চালায়।
তিনি আরও জানান, এসময় সন্ত্রাসীরা আমাকে সহ উপস্থিত সকলকে তারা নির্দয়ভাবে আহত করে। এক পর্যায়ে তারা আমার গলায় টাই দিয়ে আমাকে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। পরে শশীভূষণ থানার বিএনপির সম্পাদক মোস্তফা কামালসহ কলেজ শিক্ষকরা এসে আমাদের উদ্ধার করেন এবং আমরা হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করি।
শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)তারিক হাসান রাসেল জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।