1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ, ফাঁড়ির ইনচার্জ গ্রেপ্তার - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন

পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ, ফাঁড়ির ইনচার্জ গ্রেপ্তার

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পুলিশ হেফাজতে আব্দুল্লাহ (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর চাপের মুখে ছলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

মৃত আব্দুল্লাহ বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের বাসিন্দা আবুল মিয়ার ছেলে। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর ছলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল গ্রামে নগদ টাকা চুরির অভিযোগ ওঠে। পরে ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে স্থানীয় কয়েকজন আব্দুল্লাহকে সলিমগঞ্জ বাজার থেকে আটক করে মারধরের পর পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করে।

পরিবারের দাবি, ফাঁড়িতে নেওয়ার পর টানা চারদিন কোনো আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই আটক রেখে তার ওপর অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে স্থানীয় অলিউর রহমান জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় আব্দুল্লাহর ছোট ভাই শাকিল মিয়া বাদী হয়ে নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ইনচার্জ মহিউদ্দিনসহ অন্তত ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে আব্দুল্লাহকে নির্যাতন করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেন।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ওবায়দুর রহমান জানান, প্রাথমিক তদন্তে গাফিলতির প্রমাণ মেলায় ইনচার্জ মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।

আব্দুল্লাহর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে ছলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে প্রশাসন ফাঁড়িটি সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে। পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়।

পুলিশ সুপার এহতেশামুল বলেন, ওই যুবককে ক্যাম্পে অবৈধভাবে আটক রাখা হয়েছিল এবং নির্যাতন করা হয়েছিল বলে আমরা মনে করছি। বিভিন্ন সময় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সেই সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। পুলিশ সদস্যের এই অপরাধ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অপরাধ বলেই মনে করছি। এই পুলিশ সদস্য পুলিশ বিভাগের কোনো সুবিধা পাবে না। অপরাধী অপরাধীই।

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network