
চরফ্যাশন(ভোলা) প্রতিনিধি।। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানা এলাকায় পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজীর অভিযোগে মিজান গাজী নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (৫ অক্টোবর) গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় চরফ্যাশন উপজেলার ঘোষের হাট লঞ্চঘাট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মিজান গাজী উপজেলার দুলারহাট থানার চরযমুনা গ্রামের ০৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. কাশেম গাজীর ছেলে। মো. মামুন সাজী নামের এক ব্যক্তির মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি একই ইউনিয়ন চরযমুনা গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুলারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আরিফ ইফতেখার। পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী মামুন চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গরু ক্রয়-বিক্রয় করতো। তার কাছে থেকে স্থানীয় মিজান গাজী ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে।
সেই টাকা না দেয় তাহলে তার ব্যবসা বন্ধ করে দিবে এবং তাকে গরু চুরির মামলা ও ডিবি পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। গত ২৫ আগস্ট মামুনের কাছ থেকে বিভিন্ন ভয়ভিতি দেখিয়ে ৩৫ হাজার টাকা নেয় মিজান গাজী।
৩৫ হাজার টাকা নিয়েই ক্ষ্যন্ত হয়নি বাকী ৬৫ হাজার টাকার জন্য আবারো ডিপি পুলিশ দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দিতে থাকে। মিজান গাজীর এহেন কর্মকান্ডে দিশেহারা হয়ে শনিবার মামুন দুলারহাট থানায় এসে তার বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজীর মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই দিন সন্ধ্যায় ঘোষেরহাট লঞ্চঘাট থেকে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
ভুক্তভোগী মামুন বলেন, আমি গরু ক্রয়-বিক্রয় করি। মিজান গাজী আমার নিকট থেকে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি মিজান গাজীকে গত ২৫ আগস্ট ৩৫ হাজার টাকা দেই। বাকী ৬৫ হাজার টাকা না দিলে ডিবি পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিবে এবং গরু চুরির মামলা দিয়ে ফাঁসাবে বলে হুমকি দেয়। এই বিষয়টি নিয়ে আমি দুলারহাট থানায় তাকে আসামী করে একটি চাঁদাবাজীর মামলা দায়ের করলে পুলিশ থাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।
তিনি আরো বলেন, শুধু আমি না। আমার এলাকার ইকবাল সাজীর নিকট হতে ১০ হাজার টাকা এবং জামাল মাস্তান নামের একজনের নিকট থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়েছে। ওসি আরিফ ইফতেখার জানান, আসামী মিজান গাজীর বিরুদ্ধে একটি চাঁদা বাজীর মামলা রুজু করা হয়েছে। এবং তাকে গ্রেফতার করে রোববার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে এই সংক্রান্ত বিষয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।