1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
কুয়াকাটায় আগুনে পুড়ে তিন দোকান ভস্মীভূত, ক্ষতি প্রায় ২০ লাখ টাকা - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০০ পূর্বাহ্ন

কুয়াকাটায় আগুনে পুড়ে তিন দোকান ভস্মীভূত, ক্ষতি প্রায় ২০ লাখ টাকা

  • আপডেট সময় : রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পটুয়াখালীর মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের মম্বিপাড়া নতুনবাজার গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি দোকান ভস্মীভূত ও দুটি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রবিবার (৫ অক্টোবর) ভোর ৫ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় মসজিদের মোয়াজ্জেম নেছার উদ্দিন ফজরের আজান দেওয়ার সময় আগুনের লেলিহান শিখা দেখে মাইকযোগে এলাকাবাসীকে ডাকেন। পরে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় এবং খবর দেন ফায়ার সার্ভিসে।

স্থানীয় মসজিদের মোয়াজ্জেম নেছার উদ্দিন বলেন, ভোররাতে মসজিদে আজান দেওয়ার উদ্দেশ্যে মসজিদের কাছাকাছি এলে দোকানে আগুন জ্বলতে দেখে মসজিদের মাইক দিয়ে স্থায়ীদের খবর দেই। নতুনপাড়া বাজারে তিনটি দোকান একেবারেই পুড়ে গেছে। আগুনে মসজিদের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

খবর পেয়ে কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে তিনটি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায় এবং দুটি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের মধ্যে হাবিবুর রহমানের কাপড় ও জুতা-কসমেটিক্সের দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়, যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ লাখ টাকা বলে তিনি জানান।

আল-আমিন ইলেকট্রনিক্সের মালিক আল-আমিন বলেন, “আমার দোকানে সব ধরনের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রি হতো। পুরোপুরি পুড়ে গেছে—প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল নষ্ট হয়েছে। ঋণ করে দোকান দিয়েছিলাম, এখন পথে বসেছি।

অন্যদিকে, বাচ্চু মুদি মনোহারির দোকানেও আগুনে ৫ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ ফয়সাল আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তিনটি দোকান পুরোপুরি পুড়ে গেছে, তবে আশপাশের দোকানগুলো রক্ষা পেয়েছে।

লতাচাপলী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, হাবিব হুজুরের কাপড়ের দোকান, আল-আমিনের ইলেকট্রনিক ও ব্যাটারি চার্জারের দোকান এবং বাচ্চুর মুদি দোকান সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। এছাড়া আরো দুইটি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি রবিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

কলাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোকসেদুল আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হবে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার হামিদ বলেন, খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজখবর নিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে সঠিক প্রক্রিয়ায় আবেদন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network