
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: গুমের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরোয়ানা পাঠানো হয়েছে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও সশস্ত্র বাহিনীর সংশ্লিষ্ট ১২টি দপ্তরে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
যেসব দপ্তরে পাঠানো হয়েছে পরোয়ানা
সেনাবাহিনী প্রধান (চিফ অব আর্মি স্টাফ)
চিফ অব জেনারেল স্টাফ
এডজুটেন্ট জেনারেল (আর্মি হেডকোয়ার্টার)
ডিজি, ডিজিএফআই
ডিজি, এনএসআই
প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন
সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়
ডিরেক্টর, মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স
ডিরেক্টর, পার্সোনাল সার্ভিসেস ডিরেক্টরেট (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী)
কমান্ড্যান্ট, আর্মি সিকিউরিটি ইউনিট
প্রভোস্ট মার্শাল
সিইও, আর্মি এমপি ইউনিট ফর ইনফরমেশন
দুটি মামলায় পরোয়ানা
বুধবার (৮ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গুমের দুটি ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
টিএফআই সেলে গুম সংক্রান্ত মামলায় ১৭ জন
জেআইসিতে গুম সংক্রান্ত মামলায় ১৩ জন
দুই মামলার অভিযোগ প্রসিকিউশন আনুষ্ঠানিকভাবে আদালতে দাখিল করে একই দিনে।
অভিযোগে কারা আছেন?
এই দুই মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার (ডিজিএফআই, এনএসআই) সাবেক ও বর্তমান উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালকও রয়েছেন অভিযুক্তদের তালিকায়।
পদে থাকা যাবে না: প্রসিকিউটর
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, ‘ফরমাল চার্জ দাখিলের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) সংশোধিত আইনের আওতায় অভিযুক্তরা আর কোনো পদে থাকতে পারবেন না।’
তিনি আরও জানান, বুধবার বিকেলেই গ্রেফতারি পরোয়ানা আইজিপি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এ ধরনের বিচার প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক আইন ও সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয়। তবে এই মামলাগুলোর আইনি ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অত্যন্ত স্পর্শকাতর, এবং চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই প্রমাণিত নয়।