
পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার ৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়নে সরকারের স্বল্পমূল্যের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রিত চালে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ডিলারের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার সকালে চন্ডিপুর বাজারে চাল বিতরণের সময় প্রতি বস্তায় ৩০ কেজির পরিবর্তে ২৭ থেকে ২৮ কেজি করে চাল দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন সুবিধাভোগীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডিলার পক্ষ ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার না করে বালতি দিয়ে চাল মেপে বিতরণ করছে।
পরে কিছু সুবিধাভোগী অন্যত্র চাল ওজন করলে প্রতিটি বস্তায় ২ থেকে ৩ কেজি কম পাওয়া যায় বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। এলাকাবাসী জানান, অক্টোবর মাসের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে চাল বিতরণ করা হয়। খাদ্য অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও প্রকৃতপক্ষে ২৭ থেকে ২৮ কেজি করে দেওয়া হচ্ছে। ৮নং ওয়ার্ডের কার্ডধারী অনিক চন্দ্র দাস বলেন, “আমাকে ৩০ কেজির জায়গায় ২৮ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে।”
একই অভিযোগ করেন ৯নং ওয়ার্ডের কার্ডধারী আবুল কালাম, তিনি বলেন, “২৮ কেজি চাল দিয়েই শেষ করেছে, কিছু বললে ঝামেলা হয়।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সুবিধাভোগী জানান, “প্রতিবারই ৩০ কেজি চাল নেওয়ার পর অন্য দোকানে ওজন দিলে ২-৩ কেজি কম পাওয়া যায়।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিলার নবীন এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর মোঃ আব্দুল হাই বলেন “আস্ত বস্তায় দিলে সমস্যা হতো না। আমরা ১৭ লিটার বালতি দিয়ে মেপে দিচ্ছি, একটু কম-বেশি হতে পারে। সকাল থেকে প্রায় ১৫০ কার্ডধারীকে চাল দেওয়া হয়েছে, এখন আমরা ঠিকমত মেপে দিচ্ছি।” এই বিষয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান বিন মুহাম্মদ আলীর কাছে জানতে চাইলে বলেন, “অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।