1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
এতিমদের টাকা আত্মসাৎ, সমাজসেবা কর্মকর্তা ও সুপারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন

এতিমদের টাকা আত্মসাৎ, সমাজসেবা কর্মকর্তা ও সুপারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: মাদারীপুরে চার বছর ধরে দুর্নীতির মাধ্যমে এতিম শিশুদের নামে এক কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাৎ করেছেন সমাজসেবা কর্মকর্তা শ্যামল পাণ্ডে ও এতিমখানার সুপার ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ আল-আমিন। এ ঘটনায় অভিযান শেষে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলার বাদী দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান অপু। তিনি এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুর পৌর এলাকার ঐতিহাসিক দরগাহ শরীফ সংলগ্ন হযরত শাহ মাদার (রহ.) দরগাহ শরীফ এতিমখানায়।

মামলায় প্রথম আসামি করা হয়েছে মোহাম্মদ আল-আমিনকে এবং দ্বিতীয় আসামি সমাজসেবা কর্মকর্তা শ্যামল পাণ্ডেকে। বর্তমানে শ্যামল পাণ্ডে মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এর আগে তিনি মাদারীপুর শহরের সমাজসেবা কর্মকর্তা ছিলেন।

প্রেস রিলিজে মামলার বিবরণ দিয়ে দুদক জানায়, শ্যামল ও আল-আমিন পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করেন। তারা এতিমখানায় প্রকৃত এতিমদের সংখ্যা গোপন করে চার বছরে মোট এক কোটি এক লাখ উনিশ হাজার ৯১৭ টাকা আত্মসাৎ করেন।

তারা অতিরিক্ত সুবিধাভোগী দেখিয়ে ৪৩ লাখ ২০ হাজার টাকা ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট বাবদ তুলে নেন। একইসঙ্গে, ইসলামী ব্যাংক মাদারীপুর শাখার এমএমপিডিআর অ্যাকাউন্ট (মুদারাবা মান্থলি প্রফিট ডিপোজিট স্কিম) থেকে স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ৪৭ লাখ টাকা এবং এতিমদের জন্য বরাদ্দকৃত অনুদানের ১০ লাখ ৯৯ হাজার ৯১৭ টাকাও তুলে নেন।

এটি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান (বুলবুল) বলেন, আমরা হযরত শাহ মাদার এতিমখানায় অভিযান পরিচালনা করি। এরপর কমিশনে কাগজপত্র পাঠানো হয়। কমিশনের অনুমোদন পাওয়ার পর মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এখন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে সরকারি হিসাবে ১৪৫ জন এতিম শিশুর জন্য প্রায় ২ কোটি ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়, যেখানে জনপ্রতি মাসে বরাদ্দ ছিল ২ হাজার টাকা। তবে বাস্তবে এতিমখানায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৪০ জন।

এছাড়া সুপার আল-আমিন ৪৭ লাখ টাকার একটি এফডি (স্থায়ী আমানত) নিজের নামে জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে তুলে নেন। চলতি বছরের ১৫ জুলাই দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সদস্যরা দরগাহ শরীফ এতিমখানায় অভিযান চালান। সেই সময় তারা ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ পান।

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network