
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে লাখো মানুষ ‘নো কিংস’ নামে আন্দোলনে অংশ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। তাদের মূল বার্তা ছিল—দেশটি ক্রমশ কর্তৃত্ববাদী শাসনের দিকে যাচ্ছে, অথচ যুক্তরাষ্ট্রে কোনো রাজা বা একনায়ক শাসন চলতে দেওয়া যাবে না।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে একই দিনে এই বিক্ষোভ হয়, যা চলতি বছরের জুন মাসে আয়োজিত ঐতিহাসিক বিক্ষোভের দ্বিতীয় সংস্করণ। আগেরবারের মতো এবারও এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম বৃহত্তম প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পরিণত হয়।
ছোট বড় শহর, নগর ও গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রিত হয়ে নানা স্লোগান, ব্যানার ও প্রতীক নিয়ে মিছিলে অংশ নেয়। কেউ সঙ্গীত ব্যান্ড নিয়ে আসে, কেউ বিশাল এক ব্যানারে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রস্তাবনা লিখে তাতে স্বাক্ষর করে।
এছাড়া অনেকেই ব্যাঙের মতো ফোলানো পোশাক পরে আসে—যা প্রথমে ওরেগনের পোর্টল্যান্ডে শুরু হয়ে প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
মাত্র ছয় মাস আগেও, ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে যেন হতাশ ও বিভ্রান্ত ছিল।
হোয়াইট হাউস এবং কংগ্রেসের উভয় কক্ষেই রিপাবলিকানদের আধিপত্যের পর তাদের অবস্থা ছিল দুর্বল। কিন্তু এখন দৃশ্যপট পাল্টেছে।
‘ইনডিভিজিবল’ নামের মূল সংগঠনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এজরা লেভিন অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, ‘আমরা এখন ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে কিছু দৃঢ়তা দেখতে পাচ্ছি। এই মুহূর্তে তাদের করা সবচেয়ে বড় ভুল হবে আত্মসমর্পণ করা।
আ/ই