
নিজস্ব প্রতিবেদক// মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় দৌলতখানের নাদিয়ার মৃত্যুর একদিন পর বুধবার রাতে অবশেষে ছোট ভাই নাফিও মারা গেছে। নাদিয়া ও নাফির মৃত্যুতে বাবা মায়ের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভাড়ী হয়ে উঠে। তাহিয়া তাবাচ্ছুম নাদিয়া মাইলস্টোন স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও ছোট ভাই আরিয়ান আশরাফ নাফি ওই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। দুর্ঘটনায় শিকার একই পরিবারের দুই সন্তানকে হারিয়ে সন্তানহারা বাবা মা শোক সইতে না পেরে বারবার মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আহাজারি করছেন।
হৃদয়বিদারক মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে আত্মীয়-স্বজনরাও শোকে হত বিহব্বল হয়ে পড়ে। আরিয়ান আশরাফ নাফিকেও বড় বোন তাহিয়া তাবাচ্ছুম নাদিয়ার কবরের পাশে ঢাকার উত্তরায় নানা বাড়ি সংলগ্ন জামে মসজিদের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
বিমান দুর্ঘটনায় আহত ওই প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিয়ান আশরাফ নাফি গুরুতর আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বুধবার রাতে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়। নিহত নাফি ও নাদিয়ার গ্রামের বাড়ি ভোলার দৌলতখান উপজেলার নুর মিয়ার হাট সংলগ্ন দক্ষিণ জয়নগর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন হাওলাদার বাড়ি । বাবা আশরাফুল ইসলাম নিরব একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার।
আহত নাফি ও নাদিয়ার এ মর্মান্তিক মৃত্যুতে তাদের গ্রামের বাড়িতে ও হত দুইদিন ধরে চলছে শোকের মাতম। এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। নাদিয়ার দাদা প্রবীণ শিক্ষক আলতাফ হোসেন মাস্টার জানান কান্নায় বিজড়িত কন্ঠে বলেন, আমি আমার আদরের দুই নাতি নাতনিকে হারিয়েছি। আমি কি এমন অন্যায় করেছি আল্লাহ আমার নাতি নাতনিকে এত তাড়াতাড়ি নিয়ে গেছেন।
নিহত নাফির চাচা হুমায়ুন হাওলাদার জানান, বুধবার দুপুরে ঢাকার উত্তরায় দক্ষিণ কামার পাড়া রাজাবাড়ি পুকুর পাড় জামে মসজিদের মাঠে জানাজার পর তাকে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়। “