1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
ডোপ টেস্ট কী, কেন করা হয়? - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৬ অপরাহ্ন

ডোপ টেস্ট কী, কেন করা হয়?

  • আপডেট সময় : বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

লাইফস্টাইল ডেস্ক : খেলা ভালোবেসে থাকলে প্রায়ই শুনে থাকবেন অমুক খেলোয়াড়ের ডোপ টেস্ট করানো হয়েছে, তমুক ডোপ টেস্টের কারণে খেলা থেকে বাদ পড়েছেন। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রেও ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু এই বিষয়টি কী?

 

ডোপ টেস্ট বলতে সেই পরীক্ষাকে বোঝানো হয় যার মাধ্যমে জানা যায় একজন ব্যক্তি মাদক গ্রহণ করেন কি না। অনেকের কাছেই বিষয়টি অজানা। চলুন তাহলে ডোপ টেস্ট সম্পর্কিত সব তথ্য জেনে নেওয়া যাক-

 

ডোপ টেস্ট কী?

যেসব ব্যক্তি নিয়মিত মাদক বা অ্যালকোহল গ্রহণ করেন তাদের শরীরে কিছুটা হলেও ওই নেশাজাতীয় পদার্থ থাকে। আর সেটিই ধরা পড়ে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে। অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি আদৌ মাদকাসক্ত কি না তা যাচাইয়ের জন্য যে পরীক্ষা করা হয় তাকে ডোপ টেস্ট বলা হয়।

 

এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির মূত্র বা রক্ত, আবার কখনো দুটির নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মাদক গ্রহণ করা ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শেষ ১ সপ্তাহে মুখের লালার মাধ্যমে, শেষ ২ মাস রক্তের মাধ্যমে এবং শেষ ১২ মাস বা ১ বছরের চুল পরীক্ষার মাধ্যমে পাওয়া যায় মাদকের নমুনা।

 

ডোপ টেস্ট কেন ও কাদের করা হয়?

বর্তমান সমাজে মাদকাসক্তের হার ক্রমশ বাড়ছে। কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সব বয়সীরাই মাদকে আসক্ত হয়ে নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। শিক্ষাঙ্গন থেকে শুরু করে সমাজ সব ক্ষেত্রেই এটি হুমকি স্বরুপ। এই কারণেই মূলত ডোপ টেস্ট করানো হয়।

যে কারণে ডোপ টেস্ট করানো হয়-
মাদকসেবী শনাক্ত করতে
ট্রাফিক আইনের জন্য
খেলোয়াড়দের জন্য
আইনি জটিলতার এড়াতে
ফরেনসিকের প্রয়োজনে

বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি চাকরিতে প্রবেশকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সঙ্গে মাদক পরীক্ষার সনদ বা ডোপ টেস্টের রিপোর্ট জমা দিতে হয়। আবার চাকরিতে থাকাকালীন কোনো কর্মচারী বা কর্মকর্তার আচরণ সন্দেহজনক হলেও যেকোনো সময় তার ডোপ টেস্ট করানো হতে পারে।

 

এছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সময় কিংবা নবায়ন করার জন্যও এই পরীক্ষা করানো হয়। নতুন আইন অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রেও ডোপ টেস্ট করাতে হয়। একই সঙ্গে শিক্ষা, গবেষণা বা কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশ যেতে চাইলে বাংলাদেশি নাগরিকদের মাদক পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে হয়। অস্ত্রের লাইসেন্স করতেও ডোপ টেস্টের রিপোর্ট জমা দিতে হয়।

 

ডোপ টেস্টে কোন কোন মাদক ধরা পড়ে?

বাংলাদেশে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি) এর প্রণীত খসড়া অনুযায়ী ডোপ টেস্টে নির্দিষ্ট কিছু মাদক পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ডায়াজেপাম, লোরাজেপাম, অক্সাজেপাম, টেমাজেপাম, কোডিন, মরফিন, হেরোইন, কোকেন, গাজা, ভাং, চরস, অ্যালকহোল বা মদ, ফেনিসিডিল, ইয়াবা ও এলএসডি।

 

ডোপ টেস্ট কীভাবে করা হয়?

ইউরিন বা মূত্র পরীক্ষার মাধ্যমে ডোপ টেস্ট করা হয়।

কোনো মাদক সেবনের পর মুখের লালা বা থুথু পরীক্ষা করে তার উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়। যেমন- গাজা সেবন করার পরবর্তী ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত মুখের লালা থেকে এই মাদক পদার্থের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায় মুখের লালা পরীক্ষা মাধ্যমে।

শরীরে মাদকের কোনো উপস্থিতি আছে কি না তা পরীক্ষার অন্যতম সহজ উপায় হলো রক্ত পরীক্ষা। শরীরে রক্ত টেস্টের মাধ্যমে মাদকের উপস্থিতির সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়।

 

ডোপ টেস্টের ক্ষেত্রে চুল পরীক্ষা করার মাধ্যমেও মাদক শনাক্ত করা হয়। যেকোনো মাদক গ্রহণের পরবর্তী ৯০ দিন পরেও চুল পরীক্ষার মাধ্যমে তা সহজেই ধরা পড়ে।

 

ট্রাফিক পুলিশরা সন্দেহজনক চালকদের নিঃশ্বাস পরীক্ষার মাধ্যমে মাদক শনাক্ত করেন। অ্যালকোহল ডিটেক্টরের মাধ্যমে এই টেস্ট করা হয়।

 

ডোপ টেস্ট কোথায় করা হয়, খরচ কত?

সারাদেশের সব সরকারি হাসপাতালে ডোপ টেস্ট করানোর ব্যবস্থা আছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক ডোপ টেস্টের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ ফি ৯০০ টাকা। নন-স্পেসিফিক পরীক্ষা যেমন- বেঞ্জোডায়াজেপিন, এমফেটামাইনস, অপিয়েটস ও কেননাবিনেয়েডস- এই চারটির প্রতিটির ফি ১৫০ টাকা এবং অ্যালকোহল পরীক্ষার ফি ৩০০ টাকা।

 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমোদিত ডোপ টেস্টে মহানগরীর হাসপাতালগুলো হলো- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।

এছাড়া বাংলাদেশের বেশ কিছু স্থানে ডোপ টেস্ট শনাক্তকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। রংপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, পাবনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, সিলেট, খুলনা, বগুড়া, গাজীপুর, ফরিদপুর, নোয়াখালী, কুষ্টিয়া, যশোর, দিনাজপুর, নরসিংদী ও টাঙ্গাইল- এসব জেলাতে ডোপ টেস্টের জন্য মিনিল্যাব বসানো হয়েছে।

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network