
নিজস্ব প্রতিবেদক : পিরোজপুর-কলাখালী-স্বরূপকাঠি সড়কের মূলগ্রাম খালের ওপর নতুন ব্রিজ নির্মাণ স্থানীয় চার গ্রামের মানুষের জন্য আশীর্বাদ হওয়ার কথা থাকলেও উল্টো তা পরিণত হয়েছে চরম দুর্ভোগে।
ব্রিজের পাশের পুরোনো সংযোগ সড়কটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ৫ নং টোনা ইউনিয়নের টোনা, চলিশা, মূলগ্রাম ও তেসদাসকাঠী গ্রামের ৫ থেকে ৭ হাজার মানুষের জেলা সদরে যাতায়াত সম্পূর্ণরূপে ব্যাহত হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় বিকল্প সড়ক নির্মাণের দাবিতে স্থানীয়রা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে পিরোজপুর-কলাখালী সড়কের পাশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নারী-পুরুষসহ কয়েকশ মানুষ অংশ নেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালে রোগী নিয়ে যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিন্ন পথে ঘুরে যেতে হচ্ছে, এতে চিকিৎসা পেতে দেরি হচ্ছে। বাজারে কৃষিপণ্য নিয়ে যেতে না পারায় চাষিদের উৎপাদিত শাকসবজি, ফলমূলসহ নিত্যপণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শ্রমজীবী মানুষদের কাজে যেতে অতিরিক্ত ৪–৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে, এতে অতিরিক্ত ভাড়া ও সময়ের অপচয়ে আয় কমে গেছে। ব্রিজ নির্মাণ চলাকালীন সময়ে ব্যক্তিগত জমির ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে মানুষ চলাচল করলেও ব্রিজটি চালু হওয়ার পর সেই পথটিও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। এতে চার গ্রামের দুইটি আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দাদেরও চলাচলের একমাত্র পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।
শুধু সাধারণ মানুষ নয়, টোনা সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুন্ডপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৪৭ নং চর লখাকাঠি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকশ শিক্ষার্থীর স্কুলে যাতায়াতও বিঘ্নিত হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ব্রিজ নির্মাণ স্থানীয়দের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হলে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছাবে।
টোনা গ্রামের বাসিন্দা মো. মোরসালিন বলেন, ব্রিজ হওয়া আমাদের জন্য ভালো, কিন্তু সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এখন হাসপাতালে রোগী নিয়ে যেতে ভয় লাগে। আগে ১০ মিনিটে জেলা সদরে পৌঁছাতাম, এখন প্রায় ৪০ মিনিট লাগে। সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরাও স্কুলে যেতে পারছে না।