
নিজস্ব প্রতিবেদক: নরসিংদীতে ভূমিকম্পের পর দেয়াল ধসে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল (৩৮) ও তার ৯ বছরের ছেলে ওমর মারা গেছেন।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১১টায় তারা আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনই মারা যান।
নিহতরা পাকুন্দিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। একই ঘটনায় দেলোয়ারের দুই কন্যা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন নরসিংদীর এনডিসির (নেজারত ডেপুটি কালেক্টর) তথ্য উদ্ধৃত করে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, পরিবারের সঙ্গে চাকরিজনিত কারণে দেলোয়ার নরসিংদী শহরের গাবলতি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। ভূমিকম্পের সময় পাশের বাসার একটি দেয়াল ধসে তাদের ওপর পড়ে। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়।
ঢামেকে উপস্থিত ওমরের চাচা জাকির হোসেন জানান, ভূমিকম্পের সময় দেলোয়ার তিন সন্তানকে নিয়ে বাসা থেকে নামার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় ভবনের সানসেট ভেঙে তাদের ওপর পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেন। সেখান থেকে বাবা-ছেলেকে ঢামেকে আনা হয়। এ ঘটনার পর দেলোয়ারের দুই মেয়ে এখনো নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে তাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোক নেমে এসেছে। আগামীকাল শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে তাদের গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে দাফনের কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, ভূমিকম্পে আহত হয়ে নরসিংদী থেকে বাবা-ছেলেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে আনা হয়। জরুরি বিভাগে পৌঁছানোর পর ওমরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরে আইসিইউতে বাবাও মারা যান।