
নিজস্ব প্রতিবেদক: অবহেলার কারণে নৌকাগুলো উদ্ধার যোগ্যতার সম্ভাবনা কমছে এবং পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বোটচালক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘২০২১ সাল থেকে বোটটি এখানে আছে। এতদিনে রং-মেরামত তো দূরের কথা, এক লিটার মবিলও দেওয়া হয়নি। প্রায় ২০ মাস ধরে আমাদের বেতনও বন্ধ।’
ডন সাইট এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন অভিযোগ করেন, আগে বোট দুটির রক্ষণাবেক্ষণ, ক্ষুদ্র মেরামত ও রং করার জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। পুরো টাকাটাই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজেরা ভাগ করে নিয়েছেন।
স্থানীয়দের দাবি, বন্যার সময় মানুষের প্রাণ বাঁচাতে যে বোটগুলোর প্রয়োজন ছিল, সেগুলো বছরের পর বছর অযত্নে থাকার কারণে এখন কোনোটিই ব্যবহারযোগ্য নয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরানুজ্জামান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, মেরামতের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলে নৌকাগুলো সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মনোয়ারুল হোসেন বলেন, ‘প্রকল্পটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নতুন নির্দেশনার ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি যোগদান করেছি। এর আগে কী হয়েছে তা জানি না।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বন্যাপ্রবণ এলাকায় রেসকিউ বোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো অচল থাকলে দুর্যোগকালীন সময়ে উদ্ধারকাজে দেরি হয় এবং প্রাণহানির ঝুঁকি বেড়ে যায়। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ, স্বচ্ছ বরাদ্দ ব্যবস্থাপনা এবং প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই একমাত্র উপায়।