
উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশাল জেলার উজিরপুরে সরকারি ভাবে জমি অধিগ্রহণ ছাড়াই হতদরিদ্র পরিবারের শেষ সম্বল বসতবাড়ির (ভিটে-মাটি) থেকে উৎখাত করে হারতা-বিশারকান্দি ব্রীজ নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায় হারতা ইউনিয়নের নাথারকান্দি গ্রামের গৌরাঙ্গ লাল রায়ের ছেলে হতদরিদ্র দিপঙ্কর রায় ৬/৩/১৯ সালে হারতা ১৩ নং মৌজায় ১১৩২ নং খতিয়ানে ৫ শতাংশ জমি দলিল মূলে ভুমিহীন বন্দোবস্ত প্রাপ্ত হন দিপঙ্কর রায়। যার দলিল নম্বর ৯২০/১৯। ওই জমিতে বসতঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলো এবং রীতিমত খাজনা পরিষদ করে।
কিন্তু উক্ত জমি সরকারি ভাবে অধিগ্রহণ বা কোন ধরনের আর্থিক সহায়তা ছাড়াই বসতঘর ভাংচুর করে তছনছ করে হতদরিদ্র পরিবারকে উৎখাত করে হারতা টু বিশারকান্দি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী দিপঙ্কর রায় ও তার স্ত্রী পুতুল রায় কান্নায় ভেঙে পরে সাংবাদিকদের জানান তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তাদের জমি থেকে উৎখাত করে ব্রীজ নির্মাণ করেছে ঠিকাদার আমির হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা।
দিপঙ্কর রায় আরো বলেন বর্তমানে আমি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বিভিন্ন মানুষের বাড়িতে বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয়ে। আমার আমাদের সঠিক প্রাপ্য অধিগ্রহণ বা আর্থিক সহায়তা চাই। নতুবা মরন ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় থাকবেনা। দিপঙ্কর ক্ষুদ্র মিস্তির কাজ করে ও তার স্ত্রী অন্যের বাড়ি ঝিয়ের কাজ করে আহার যোগাতে হয়।
তাদেরকে খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এক শতাংশ জমিও ক্রয় করার সামর্থ্য নেই। এদিকে হতদরিদ্র দিপঙ্কর রায় একটু মাথা গোঁজার ঠাইয়ের জন্য কারো মাধ্যমে ওই জমি বাবদ সরকারি ভাবে আর্থিক সহায়তার দাবিতে এলাকার মোড়লদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্ত কোন ফলপ্রসূ হয়নি।
ব্রীজ নির্মাণের ঠিকাদার আমির হোসেনকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। উপজেলা প্রকৌশলী সুব্রত রায় জানান আমরা সরকারি যায়গায় সরকারি কাজ করেছি,বন্দোবস্ত আছে কিনা তা আমার জানার বিষয় নহে।
তারা ভূমি অফিসে যোগাযোগ করুক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজা জানান বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়া হতদরিদ্র পরিবার উজিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী সুব্রত রায়,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজাসহ সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।