1. diggilseba@gmail.com : admin :
  2. ashadul@barisalcrimetrace.com : Ashadul Islam : আসাদুল ইসলাম
  3. hafiz@barisalcrimetrace.com : barisal CrimeTrace : barisal CrimeTrace
  4. mahadi@barisalcrimetrace.com : মাহাদী হাসান : মাহাদী হাসান
শীতের উৎসবে মাংসের তৃপ্তি মেটাতে ভোলায় প্রস্তুত হচ্ছে হাঁস - Barisal Crime Trace । বরিশাল ক্রাইম ট্রেস
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ন

শীতের উৎসবে মাংসের তৃপ্তি মেটাতে ভোলায় প্রস্তুত হচ্ছে হাঁস

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : মেঘনা, তেতুলিয়া নদী ও বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষে জেগে ওঠা দেশের একমাত্র দ্বীপজেলা ভোলা। চারদিকে নদী-বেষ্টিত এই জনপদের মানুষের জীবনযাত্রা নদী ও পলিমাটির সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে। এখানকার খাবার, ঐতিহ্য আর উৎসবের সঙ্গে শীতকালে হাঁসের মাংস যেন খাবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে শীতে উপযোগী করতে এখানকার খামারীরা হাঁস পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন৷

 

 

শীত এলেই ভোলার ঘরে ঘরে হাঁসের মাংস রান্নার ধুম পড়ে যায়। অতিথি আপ্যায়ন হোক বা পিকনিকের আয়োজন হাঁসের মাংস আর মহিষের টক দই এখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকায় শীর্ষে। এই মৌসুমকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন এলাকায় হাঁস বিক্রি করে ভালো আয় করছেন বহু খামারি ও তরুণ উদ্যোক্তারা। এ জেলায় হাঁসের চাহিদা বেশি থাকায় জেলার বাইরে থেকেও আনা হয় হাঁস।

 

 

তেমনই এক সফল তরুণ উদ্যোক্তা ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের রামদাশপুর গ্রামের বেড়িবাঁধের পাড়ের যুবক মিজান হোসেন। বয়স মাত্র ২৫ বছর। শীত মৌসুমকে সামনে রেখে তিনি খুলনা থেকে একদিন বয়সী খাকি ক্যাম্বেল জাতের এক হাজার হাঁস কিনেছিলেন, প্রতি হাঁস ৩৫ টাকায়। গত আড়াই মাস ধরে তিনি নিয়মিতভাবে বেড়িবাঁধের পাশে খামারে ও নদীতে এসব হাঁসের পরিচর্যা করে যাচ্ছেন।

 

 

সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল চটকিমারায় গিয়ে দেখা যায়, ধান ক্ষেত থেকে শুরু করে নদী-খাল-নালা-ডোবায় শত শত হাঁস ঘুরে বেড়াচ্ছে। এরা মূলত প্রাকৃতিক খাবার বেশি খায়। মাঝে মাঝে খামারিরা ধান ছিটিয়ে দিচ্ছে। স্থানীয় খামারি জামাল ও রাশেদ জানান, ৪ বছর আগে আড়াই’শ হাঁস দিয়ে খামার শুরু করেন তারা। এরপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি তাদের। বর্তমানে প্রায় ৮’শ হাঁস রয়েছে তাদের খামারে। দৈনিক সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে ৩ হাজার টাকার বেশি লাভ থাকে ডিম বিক্রি করে।

 

 

 

হাঁস খামারী মো: আলাউদ্দিন মিয়া জানান, ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে হাঁস পালন করে আসছেন। বসত ঘরের পাশের জমিতে গড়ে তুলেছেন হাঁসের খামার। প্রথমে ১’শ হাঁস দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে তার প্রায় ৬’শ হাঁস রয়েছে। দৈনিক প্রায় ৪’শ ডিম হয় তার খামারে। ১’শ ডিম ১ হাজার টাকা মূল্য হারে তার ৪হাজার টাকার ডিম বিক্রি হয় দৈনিক। অন্যান্য ব্যয় বাদ দিয়ে তার ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা লাভ হয়।

 

 

শুধু চর চটকিমারা নয়, ভেলুমিয়া চর, কাচিয়া ইউনিয়নের মাঝের চর, ভেদুরীয়ার চর গাজী, ধনীয়া, রাজাপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চরে হাঁস পালন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। হাঁসের খামারে কাজে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অংশ গ্রহণ করছে।
মাঝের চরের খামারি জোছনা বেগম জানান, তার স্বামী কৃষি কাজ করেন। তার খামারে ৫’শ হাঁস রয়েছে। তিনি ছেলেকে নিয়ে খামার পরিচালনা করেন। হাঁস পালনে তেমন পরিশ্রম হয়না জানিয়ে বলেন, সকালে এসব হাঁস তার ছেলে বিল ও নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে দলবদ্ধ ভাবে শামুক, ছোটমাছসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক খামার খায় তারা। সন্ধ্যার আগে আবার খামারে নিয়ে আসা হয়। তারপরেও দিনে ২বার করে তাদের খাবার হিসেবে ধান দিতে হয়।

 

 

 

স্থানীয় পর্যায়ে হাঁস পালন এখন কেবল ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা নয়, বরং তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য সম্ভাবনাময় আয়ের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে প্রাণী বিশেষজ্ঞদের।

 

 

ভোলা সদর উপজেলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শাহিন মাহমুদ বলেন, “ভোলা বিভিন্ন উপজেলায় অনেক যুবক এখন হাঁস পালনে আগ্রহী হচ্ছেন। এতে স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বেকার তরুণদের জন্য এটি একটি লাভজনক বিকল্প পেশা হিসেবে গড়ে উঠছে।

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ
© All rights reserved © 2025 Barisal Crime Trace
Theme Customized By Engineer BD Network