
পিরোজপুর প্রতিনিধি ::পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ৯ দিন অনশনের পর অবশেষে ২৫ বছর বয়সি এক তরুণী এবং ১৮ বছর বয়সি এক তরুণের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার (৯ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের চর-সাউদখালী গ্রামে এই বিয়ের আয়োজন করা হয়। প্রেম চলাকালীন এ ঘটনার সম্পর্ক গড়ার দুই মাস। প্রেমিকের প্রতিশ্রুতিতে সঞ্চিতা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ফাতিমা আক্তার নাম ধারণ করে।
স্থানীয়রা জানান, গত ১ নভেম্বর বিকালে স্বরূপকাঠি (নেছারাবাদ) উপজেলার নানদোহান গ্রামের নারায়ণ মণ্ডলের কন্যা সঞ্চিতা মণ্ডল (২৫) প্রেমিক আলী হাওলাদার (১৮) বাড়িতে পৌঁছে বিয়ের দাবি নিয়ে অনশন শুরু করেন।
সঞ্চিতা স্থানীয় একটি এনজিওতে কর্মরত। যদিও প্রথমে আলীর পরিবার এই বিয়েতে সম্মত হয়নি, কিন্তু ৯ দিন চলা অনশনের পর স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় রবিবার রাতে গ্রামের নিয়ম অনুযায়ী বিয়ের আয়োজন করা হয়।
বিয়ের পর ফাতিমা আক্তার বলেন, ‘আমার প্রেমিক আলী বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। তিনি সেখানে থাকতে স্থানীয়দের সঙ্গে ভিডিও কলে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
বিয়ের সময় আলীর বাবা-মাও উপস্থিত ছিলেন। পরে আলী দেশে ফিরে এলে কাবিন ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। এখন আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং আমার চাকরিতে যোগ দিতে প্রস্তুত।’
আলীর বাবা কবির হাওলাদার বলেন, ‘আমি মাছ ধরতে সাগরে গিয়েছিলাম। রবিবার সাগর থেকে ফিরে শুনলাম স্থানীয় সালিসে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। ছেলে দেশে ফিরলে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের আয়োজন হবে।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা জাফর জানান, ‘শুনেছি স্থানীয়দের মাধ্যমে এক হিন্দু তরুণীর সঙ্গে মুসলিম তরুণের বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।