
নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদারীপুরের শিবচরে পারিবারিক কলহের জেরে বাবাকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগে ছেলে ফারুক হোসেন (২৭) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে আদালতে হাজির করা হলে দোষ স্বীকার করে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন তিনি।
মাদারীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের আদালতে ফারুক ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে সোমবার সকালে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিহত মতিউর ইসলামের (৫৫) মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহত মতিউর ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানার হারিয়াবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। জীবিকার তাগিদে তিনি ছেলে ফারুককে নিয়ে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের পঞ্চগ্রামে রসুন বপনের কাজে আসেন।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) জাহাঙ্গীর আলম জানান, রবিবার রাতে খাবার শেষে বাবা-ছেলে একই বিছানায় ঘুমাতে যান। রাত ১০টার দিকে মতিউর মোবাইল ফোনে পুত্রবধূর সঙ্গে কথা বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফারুক রাত সোয়া ১২টার দিকে ঘুমন্ত বাবার মুখে কোদাল দিয়ে কোপ মারেন।
মাত্র আড়াই মিনিটে বাবার শরীরে ১৭টি কোপ দেন তিনি। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর মৃত বাবার পাশে বসে বিড়ি টানেন ফারুক। শব্দ পেয়ে বাড়ির মালিকের ছেলে ও স্থানীয়রা এসে রক্তাক্ত অবস্থায় মতিউরকে দেখতে পান এবং পুলিশে খবর দেন।
শিবচর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফারুককে আটক করে এবং হত্যায় ব্যবহৃত কোদালসহ রক্তাক্ত জামা-কাপড় জব্দ করে। পরে মতিউরের স্ত্রী কোহিনূর বেগম বাদী হয়ে ছেলে ফারুককে একমাত্র আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন